ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাঁঠালিয়ায় ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন শিহাব মাহমুদ

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১১১৩ বার পড়া হয়েছে

কাঁঠালিয়ায় ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন শিহাব মাহমুদ

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

মাত্র ১১ মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে ৯ বছরের শিশু হাফেজ মোঃ শিহাব মাহমুদ। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করায় শিশুর পরিবার ও শিক্ষকরা আনন্দিত।

শিশু হাফেজ শিহাব মাহমুদ সাংবাদিক মোঃ শহীদুল ইসলাম ও শিক্ষিকা মোসাঃ মাহমুদা আক্তার দম্পত্তির সন্তান। পেশাগত কারণে তারা কাঁঠালিয়ায় বসবাস করায় হাফেজ শিহাব মাহমুদ কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। তাঁদের স্থায়ী ঠিকানা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বৌলপুর গ্রামে।

জানা গেছে, সাংবাদিক মোঃ শহীদুল ইসলামের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান। হাফেজ শিহাব মাহমুদ জন্ম ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণে শিহাব মাহমুদকে কাঁঠালিয়া সদরের ‘কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা’য় হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। নাজরানা বিভাগে পড়ার পর মাত্র ১১ মাসে পবিত্র কোরআন হিফজ করেছে সে।

এ বিষয়ে শিশু হাফেজ শিহাব মাহমুদ তার অনুভূতি জানিয়ে বলেছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ! অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি এবং ইসলামের আদর্শ মনে প্রাণে ধারন করতে পারি।’

শিহাব মাহমুদের বাবা সাংবাদিক মোঃ শহীদুল ইসলাম মাদ্রাসার উন্নতি কামনা করে বলেন, কোরআনের হাফেজ হয়ে শিহাব আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশেষ করে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার ছেলের মঙ্গলের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করে।

শিহাবের মা শিক্ষিকা মোসাঃ মাহমুদা আক্তার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলে শিহাব মাহমুদ মাত্র ১১মাসে হিফজ শেষ করেছে, এ জন্য আমরা খুব আনন্দিত। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

শিহাবের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মো. আব্দুল কাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শুক্রবার  (১৯ সেপ্টেম্বর) হাফেজদের পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠানে বলেছেন, শিশুটি মাত্র ৯ মাস নাজেরানা পড়ে হেফজ বিভাগে ছবক শুরু করে। ছবক শুরু থেকে মাত্র ১১ মাসে কুরআন হেফজ সম্পন্ন করে। আমি আশা করছি, আন্তর্জাতিকভাবে কোরআনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমাদের মাদরাসা, পরিবার, দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনবে।

কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ নুরুল আমিন আলম বলেন, হাফেজ শিহাব মাহমুদের মাধ্যমে আমাদের মাদরাসার নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আমরা দোয়া করি যেন এমন আরও অনেকেই হাফেজ হতে পারে। আল্লাহ যেন সবাইকে কবুল করেন।

ট্যাগস :

কাঁঠালিয়ায় ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন শিহাব মাহমুদ

আপডেট সময় : ১১:৪১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কাঁঠালিয়ায় ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন শিহাব মাহমুদ

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

মাত্র ১১ মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে ৯ বছরের শিশু হাফেজ মোঃ শিহাব মাহমুদ। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করায় শিশুর পরিবার ও শিক্ষকরা আনন্দিত।

শিশু হাফেজ শিহাব মাহমুদ সাংবাদিক মোঃ শহীদুল ইসলাম ও শিক্ষিকা মোসাঃ মাহমুদা আক্তার দম্পত্তির সন্তান। পেশাগত কারণে তারা কাঁঠালিয়ায় বসবাস করায় হাফেজ শিহাব মাহমুদ কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। তাঁদের স্থায়ী ঠিকানা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বৌলপুর গ্রামে।

জানা গেছে, সাংবাদিক মোঃ শহীদুল ইসলামের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান। হাফেজ শিহাব মাহমুদ জন্ম ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণে শিহাব মাহমুদকে কাঁঠালিয়া সদরের ‘কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা’য় হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। নাজরানা বিভাগে পড়ার পর মাত্র ১১ মাসে পবিত্র কোরআন হিফজ করেছে সে।

এ বিষয়ে শিশু হাফেজ শিহাব মাহমুদ তার অনুভূতি জানিয়ে বলেছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ! অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি এবং ইসলামের আদর্শ মনে প্রাণে ধারন করতে পারি।’

শিহাব মাহমুদের বাবা সাংবাদিক মোঃ শহীদুল ইসলাম মাদ্রাসার উন্নতি কামনা করে বলেন, কোরআনের হাফেজ হয়ে শিহাব আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশেষ করে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার ছেলের মঙ্গলের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করে।

শিহাবের মা শিক্ষিকা মোসাঃ মাহমুদা আক্তার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলে শিহাব মাহমুদ মাত্র ১১মাসে হিফজ শেষ করেছে, এ জন্য আমরা খুব আনন্দিত। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

শিহাবের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মো. আব্দুল কাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শুক্রবার  (১৯ সেপ্টেম্বর) হাফেজদের পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠানে বলেছেন, শিশুটি মাত্র ৯ মাস নাজেরানা পড়ে হেফজ বিভাগে ছবক শুরু করে। ছবক শুরু থেকে মাত্র ১১ মাসে কুরআন হেফজ সম্পন্ন করে। আমি আশা করছি, আন্তর্জাতিকভাবে কোরআনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমাদের মাদরাসা, পরিবার, দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনবে।

কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ নুরুল আমিন আলম বলেন, হাফেজ শিহাব মাহমুদের মাধ্যমে আমাদের মাদরাসার নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আমরা দোয়া করি যেন এমন আরও অনেকেই হাফেজ হতে পারে। আল্লাহ যেন সবাইকে কবুল করেন।