ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাঠালিয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৭৬ বার পড়া হয়েছে

তদন্ত মোঃ আমির হোসেন, ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠির সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি, অনিয়ম ও উৎকোসের অভিযোগে তদন্ত করেন বরিশাল বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক এস এম ফারুক।

সোমবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে কাঠালিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সাবেক এ শিক্ষা অফিসার ঝালকাঠি জেলায় চাকুরীরত অবস্থায় বিভিন্ন শিক্ষককে দাবিয়ে ধমকিয়ে উৎকোচ বানিজ্য করতেন। কারনে অকারনে তাদেরকে শোকজ করে অনিয়ম ও দূর্ণীতির রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। শিক্ষকরা শোকজের সন্তষজনক উত্তর দিলেও তাদের বেতন কর্তন করতেন এবং উৎকোচের বিনিময়ে শোকজ তুলে নিতেন। এমন আরো অনেক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগী এ কর্মকর্তা এ তদন্ত শুরু করেন। এসময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিরুল ইসলাম ও কাঠালিয়া শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা, শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিতি ছিলেন।

তদন্তকালে ১০/১৫ জন প্রধান শিক্ষকের লিখিত বক্তব্য নেয়া হয়। অভিযুক্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকার বর্তমানে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

আরও পড়ুনঃ দুমকিতে অনুমোদন ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস!

বরিশাল বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক এস এম ফারুক জানান, ঝালকাঠির সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকারের দূর্নীত ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনেক শিক্ষকদের মতামত নিয়েছি। তবে অনিয়মের প্রমান আছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের অধিকতর তদন্ত চলছে, অভিযুক্তকারী কর্মকর্তা কর্মের শান্তি ভোগ করবেন।

সাবেক ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। ঝালকাঠিতে যোগদানের পর দেখালাম স্কুলগুলো ঠিকমতো চলছিল না। আমি ভিজিট করায় অনেক শিক্ষকের ঘা লাগে। তাই আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য তারা এসব অভিযোগ করছে।

উল্লেখ্য যে, কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনির জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকারের দূর্ণীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবরে ৬ নভেম্বর ২০১৯ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোঃ আমির হোসেন

কাঠালিয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০

তদন্ত মোঃ আমির হোসেন, ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠির সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি, অনিয়ম ও উৎকোসের অভিযোগে তদন্ত করেন বরিশাল বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক এস এম ফারুক।

সোমবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে কাঠালিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সাবেক এ শিক্ষা অফিসার ঝালকাঠি জেলায় চাকুরীরত অবস্থায় বিভিন্ন শিক্ষককে দাবিয়ে ধমকিয়ে উৎকোচ বানিজ্য করতেন। কারনে অকারনে তাদেরকে শোকজ করে অনিয়ম ও দূর্ণীতির রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। শিক্ষকরা শোকজের সন্তষজনক উত্তর দিলেও তাদের বেতন কর্তন করতেন এবং উৎকোচের বিনিময়ে শোকজ তুলে নিতেন। এমন আরো অনেক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগী এ কর্মকর্তা এ তদন্ত শুরু করেন। এসময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিরুল ইসলাম ও কাঠালিয়া শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা, শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিতি ছিলেন।

তদন্তকালে ১০/১৫ জন প্রধান শিক্ষকের লিখিত বক্তব্য নেয়া হয়। অভিযুক্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকার বর্তমানে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

আরও পড়ুনঃ দুমকিতে অনুমোদন ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস!

বরিশাল বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক এস এম ফারুক জানান, ঝালকাঠির সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকারের দূর্নীত ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনেক শিক্ষকদের মতামত নিয়েছি। তবে অনিয়মের প্রমান আছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের অধিকতর তদন্ত চলছে, অভিযুক্তকারী কর্মকর্তা কর্মের শান্তি ভোগ করবেন।

সাবেক ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। ঝালকাঠিতে যোগদানের পর দেখালাম স্কুলগুলো ঠিকমতো চলছিল না। আমি ভিজিট করায় অনেক শিক্ষকের ঘা লাগে। তাই আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য তারা এসব অভিযোগ করছে।

উল্লেখ্য যে, কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনির জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকারের দূর্ণীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবরে ৬ নভেম্বর ২০১৯ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোঃ আমির হোসেন