কালুখালিতে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন,নেপথ্যে স্থানীয় নেতারা
স্টাফ রিপোর্টার :
রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের জামালপুর মৌজায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে। যদিও জেলা প্রশাসকের বালুমহাল বিবরণীতে কালুখালির একমাত্র বালুমহাল পাতুরিয়া মৌজা।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক চিঠিতে দেখা যায় জেলায় মোট ৭ টি বালুমহাল রয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ৬ টি বালুমহাল ও বাকি একটি কালুখালি উপজেলার পাতুরিয়া মৌজার বালুমহাল।
গত মার্চ মাসের ১৮ তারিখ জেলা বালুমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি পাতুরিয়া মৌজার বালুমহাল সর্বোচ্চ ৮০,১২০০ টাকায় আহাদ ট্রেডার্স কে দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাতুরিয়া বালুমহাল থেকে ৪ কিলোমিটার দুরে কালুখালি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লাবু, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তুষার, সাওরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল, সাধারণ সম্পাদক মিজান সহ আরো কিছু নেতা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। একটি ভেকু দিয়ে ট্রাকে বালু তোলা হচ্ছে।এখান থেকে বালু নেওয়ার জন্য রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক ট্রাক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাতুরিয়া বালুমহাল গত কয়েক বছর লাবু, তুষার, কামাল, মিজান, মিলন দের দখলে ছিলো। এ বছর ইজারা না পেয়ে ক্ষমতা দেখিয়ে প্রশাসনের সামনে দিন রাত সমানে বালু উত্তোলন করছে অবৈধ ভাবে।
এ বিষয়ে পাতুরিয়া বালুমহাল ইজারাদার আহাদ ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী কে,এম রাকিবুল ইসলাম (আকমল) বলেন, আমি সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে পাতুরিয়া বালুমহাল ক্রয় করেছি। গত বছরের থেকে কয়েক গুন বেশি টাকা দিয়ে। কিন্তু গত বছর যারা এই বালুমহাল চালাতো তারা ইজারা না পেয়ে আমাকে ক্ষতি করার জন্য অবৈধ ভাবে একই ইউনিয়নের মধ্যে বালু উত্তোলন করছে। আমি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটা লিখত অভিযোগ দিয়েছি।
কালুখালি উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ নুরুল আলম বলেন, আমার কাছে ও উক্ত অভিযোগে আসছে। আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।