আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন পুনর্বহালের রোডম্যাপ দিলেই নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনায় ইসলামাবাদ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
যদিও, শান্তি আলোচনার জন্য এর আগে কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন নিয়ে সংবিধানের ওই বাতিল ধারা পুনর্বহালের শর্ত দিয়েছিল ইমরান প্রশাসন। তবে, কাশ্মীর নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর ওই প্রস্তাবের বিষয়ে এখন পর্যন্ত নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে আসছে ভারত ও পাকিস্তান। অঞ্চলটির কিছু অংশ ভারতে এবং কিছু অংশ পাকিস্তানে পড়লেও পুরো অঞ্চলটিই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে দুই দেশ।
সবশেষ ২০১৯ সালে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বিলুপ্ত করে সেখানে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করে নয়াদিল্লি। এতে, দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিলে, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করে ইসলামাবাদ। একইসঙ্গে, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে যেকোন ধরনের শান্তি আলোচনার জন্য সবার আগে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে সংবিধানের বিলুপ্ত ধারা পুনর্বহালের শর্তও দেয় ইমরান খান প্রশাসন।
তবে, নিজের সেই অবস্থান থেকে সরে এসে শান্তি আলোচনার জন্য এবার কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখালেন পাক প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার, রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান, কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন পুনর্বহালের রোডম্যাপ দিলেই নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইসালামাবাদ।
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যদি আমাদেরকে একটি রোডম্যাপ দেয়, যেখানে কাশ্মীরের আগের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াগুলো বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে, তাহলেও আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কারণ তারা যেটি করেছে সেটি অবৈধ, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী। কিন্তু নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে কোন ধরনের প্রস্তাব না এলে এই আলোচনা সম্ভব নয়।
এছাড়াও, ইমরান খান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই তিনি ভারতের সঙ্গে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চেয়ে এসেছেন।
ইমরান খান বলেন, আপনি যদি এই অঞ্চলে দারিদ্র্য দূর করতে চান, তবে এর সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে পরস্পরের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে তাকালে আমরা দেখবো, ওই জোটে যারাই যোগ দেয়, তাদেরই জীবনমানের উন্নতি হয়।
তবে, ইমরান খানের এসব বক্তব্যের বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন মন্তব্য করেনি নয়াদিল্লি।