কিশোরগঞ্জে ঝুলন্ত তারে আতঙ্কিত শহরবাসী
জেলা প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ শহরে ইন্টারনেট ও ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তারের অব্যবস্থাপনার কারণে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। বিপজ্জনকভাবে ঝুলতে থাকা তারে আর্থিং ও শটসার্কিট হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তার সরাতে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো উদ্যোগ। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবার জন্য অপরিহার্য অংশ তার এখন কিশোরগঞ্জ শহরের বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্কের কারণ।
পৌর শহরের মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি রাস্তা ঘেঁষে বিদ্যুতের খুঁটি ও ল্যাম্পপোস্টে উপরে তাকালেই চোখে পড়ে যত্রতত্র ঝুলছে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও ডিশের তার। এতে যেমন শহরের সৌন্দর্য্য ম্লান হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও। স্থানীয়রা বলছেন, মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎসহ এসব তার নেওয়া হলে অগ্নিকান্ডের ঘটনাসহ বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা কমবে। তারের জঞ্জালের কারণে আর্থিং ও শর্ট সার্কিট হয়ে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তারা আরও জানান, বড় বড় ট্রাক যখন যায় তখন এই তারগুলো ছিড়ে যায়। পথচারীরা যাওয়ার সময় অনেক ঝুঁকিতে থাকে।
এ অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক জানালেন, অগ্নি দুর্ঘটনার ৭৫ শতাংশের জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার নানা সমস্যা দায়ী। এ পর্যন্ত শহরের বেশিরভাগ অগ্নিকান্ড বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ঘটেছে।
জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মোবারক আলী আরও বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে স্পার্ক হলে আগুন লেগে যায়। তারগুলো খুঁটিতে না রাখাই ভালো।’
পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী বললেন, তারের জঞ্জাল সরালেও, কিছুদিনের মধ্যেই তা আবারো টানিয়ে ফেলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। জেলা পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক ছেফাতী বলেন, ‘বারবার এই তারগুলো বিভিন্ন জায়গায় আমরা বিচ্ছিন্ন করি। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালীরা আবার এটা ঝুলিয়ে দেয়। আমাদের পরিকল্পনা আছে এর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর।’
মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তারের জঞ্জাল অপসারণের উদ্যোগ নেবে পিডিবি এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।