ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ

কিস্তি পরিশোধে ৩ মাস সময় পাবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা

News Editor
  • আপডেট সময় : ০২:৪৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৪৫ বার পড়া হয়েছে

কিস্তি পরিশোধে ৩ মাস সময় পাবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা

করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যেসব উদ্যোক্তা সমস্যায় পড়েছেন তারা ঋণ শোধ করতে বাড়তি তিন মাস সময় পাবেন। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা ঋণের কিস্তি দিতে না পারলে খেলাপি হবেন না।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এক সার্কুলার জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।

এতে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ঋণ, লিজ বা অগ্রিমের বিপরীতে প্রদেয় কিস্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা হলে সেটা খেলাপি করা যাবে না।

এ সময়ে কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি বা কমিশন বা চার্জ আরোপ করা যাবে না। ঋণ, লিজ বা অগ্রিমের উপর সুদ বা মুনাফার ক্ষেত্রে আগের নিয়ম বহাল থাকবে। এ নির্দেশনা অনতিবিলম্বে কার্যকর বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। এ কারণে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া বাকি সব কিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চালু নেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।

ব্যবসা বাণিজ্যের স্লথ গতির কারণে কিস্তি পরিশোধ নিয়ে বিপাকে আছেন ঋণগৃহীতারা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় এর আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের শ্রেণিকরণে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছিল। করোনার কারণে কোনো গ্রাহক সাময়িকভাবে ঋণের কিস্তি শোধে সমস্যার সম্মুখীন হলে তাদের হিসাবের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত দেয়া হলো।

২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পরও এই ধরনের সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ পরিশোধ না হলেও খেলাপি ঘোষিত না হওয়ার কারণে ব্যাংকগুলোকে ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণও করতে হয়নি। এ কারণে ব্যাংকগুলোর মুনাফাও বেড়ে গেছে। আর করোনার মধ্যেও ব্যাংকগুলো আগের বছরের তুলনায় বেশি লভ্যাংশ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

[irp]

কিস্তি পরিশোধে ৩ মাস সময় পাবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা

আপডেট সময় : ০২:৪৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১

কিস্তি পরিশোধে ৩ মাস সময় পাবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা

করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যেসব উদ্যোক্তা সমস্যায় পড়েছেন তারা ঋণ শোধ করতে বাড়তি তিন মাস সময় পাবেন। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা ঋণের কিস্তি দিতে না পারলে খেলাপি হবেন না।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এক সার্কুলার জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।

এতে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ঋণ, লিজ বা অগ্রিমের বিপরীতে প্রদেয় কিস্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা হলে সেটা খেলাপি করা যাবে না।

এ সময়ে কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি বা কমিশন বা চার্জ আরোপ করা যাবে না। ঋণ, লিজ বা অগ্রিমের উপর সুদ বা মুনাফার ক্ষেত্রে আগের নিয়ম বহাল থাকবে। এ নির্দেশনা অনতিবিলম্বে কার্যকর বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। এ কারণে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া বাকি সব কিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চালু নেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।

ব্যবসা বাণিজ্যের স্লথ গতির কারণে কিস্তি পরিশোধ নিয়ে বিপাকে আছেন ঋণগৃহীতারা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় এর আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের শ্রেণিকরণে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছিল। করোনার কারণে কোনো গ্রাহক সাময়িকভাবে ঋণের কিস্তি শোধে সমস্যার সম্মুখীন হলে তাদের হিসাবের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত দেয়া হলো।

২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পরও এই ধরনের সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ পরিশোধ না হলেও খেলাপি ঘোষিত না হওয়ার কারণে ব্যাংকগুলোকে ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণও করতে হয়নি। এ কারণে ব্যাংকগুলোর মুনাফাও বেড়ে গেছে। আর করোনার মধ্যেও ব্যাংকগুলো আগের বছরের তুলনায় বেশি লভ্যাংশ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

[irp]