কুমিল্লায় চাল নিয়ে মুখামুখি চেয়ারম্যান-ইউএনও
আস্থা ডেস্কঃ
ঈদুল আজহায় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দের গরিবদের জন্য ১০ কেজি করে চাল নিয়ে কুমিল্লার হোমনায় একটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উভয়েই অভিযোগ করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ, ইউএনও’র নির্দেশ ছিল ইউপি সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে চাল বিতরণ করার। না করায় ইউএনও গুলি করতে চেয়েছেন। তাই এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।
আর অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে ইউএনও বলছেন, এর আগেও ওই ইউপি চেয়ারম্যান চাল নিয়ে নয়ছয় করেছিলেন। এবার করতে গেলে বাধা পেয়ে উল্টো অভিযোগ আনছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন চান্দের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক।
অভিযোগে তিনি বলেন, উপজেলার চার নম্বর চান্দেরচর ইউনিয়ন পরিষদে ১৬ জুন সকাল ১০টায় চাল বিতরণ শুরু হয়। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি এতে উপস্থিত ছিলেন না। সকাল সোয়া ১০টায় ওই ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হেলাল উদ্দিন, আট নম্বরের মাসুদ রানা এবং সংরক্ষিত চার, পাঁচ এবং ছয়ের সদস্য শাহনাজ পারভীন চাল বিতরণে বাধা দেন।
তারা বলেন, পিআইও ও ইউএনও সাহেব তাদের বলছেন লিস্টা ছাড়া তাদের কথা মতো চাল বিতরণ করতে হবে। কিন্তু মেম্বারদের নিজস্ব লিস্ট মোতাবেক তাদের ওয়ার্ডের চাল এর আগে বিতরণ করা হয়েছে।
তখন ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল ইউএনও ও পিআইওকে মুঠোফোনে কল দিলে তারা ফোন রিসিভ করেন নাই। পরে ইউপি চেয়ারম্যান হোমনার থানার ওসিকে পুলিশ ফোর্স পাঠানোর জন্য ফোন দিলে তিনি ফোর্স পাঠাবে বলে ফোর্স পাঠাননি।
পরে ইউপি চেয়ারম্যান ইউএনওকে পুনরায় ফোন দেন এবং বিস্তারিত জানান। তখন ইউএনও মুঠোফোনে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেন, মেম্বারদের সঙ্গে সমন্বয় করে চাল দেন বা ফেলে দেন বা যা খুশি তা করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল মুঠোফোনেই ইউএনও কে বলেন, গত ১১ জুন তারিখে লিস্ট মোতাবেক কার্ড বণ্টন হয়ে গেছে। এখন কীভাবে আমি মেম্বারদের সঙ্গে সমন্বয় করে চাল দেবো। তখন ইউএনও ওই চেয়ারম্যানকে ‘বেয়াদব’ বলে গালি দেন ও সামনে থাকলে ‘গুলি’ করবেন বলে হুমকি দেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে ইউএনও’র শাস্তি দাবি করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে হোমনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা মোবাইলে বলেন, গুলি করার কথা তাকে বলা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর বিতরণের চাল তিনি আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন। আমি বাধা দিলে তিনি এসব অভিযোগ তুলছেন। অনিয়মগুলো ধরা পড়ার ভয়ে তিনি এই অভিযোগগুলো করছেন। এর আগেও তার চাল বিক্রি করে দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে।