নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও কুড়িগ্রাম জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। কমেনি মানুষের দুর্ভোগ।এখনো ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।অন্যান্য ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর সহ ১৫টি নদীর পানির বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। গত এক সপ্তাহে জেলায় নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে ৪৫৮ পরিবার এবং তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বন্যার কারণে এখনো ৪৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
এদিকে,কুড়িগ্রামে ১১দিন ব্যাপী বন্যা ও বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে কাটছে চরবাসীদের দিন। জেলার ১৬টি নদ-নদীর মধ্যে অবস্থিত সাড়ে ৪ শতাধিক চরসহ প্রায় ২ লাখ মানুষ বন্যায় অসহনীয় ভাবে দিন যাপন করছে। চরের মানুষ অপরিচিত নৌকা দেখলেই ভেলায় করে অথবা ডিঙি নৌকায় ছুটে আসছে। বাদ যাচ্ছে না বয়স্ক থেকে শিশুরাও। জেলা প্রশাসন থেকে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। দুর্গম অনেক চরের মানুষের কাছে পৌঁছেনি খাদ্য সহায়তা। এদিকে বেশির ভাগ সহায়তা চরের মানুষকে দেয়া হলেও মেইন-ল্যান্ডে অবস্থিত বন্যা কবলিতরা ত্রাণ থেকে বঞ্চিত বলে তারা অভিযোগ তুলেছেন। বন্যা কবলিতরা জানিয়েছে একদিকে বন্যা ও জিনিসপত্রে রচড়া দাম অপরদিকে চেয়ারম্যান মেম্বার কেউই কাদের খোঁজখবর নিচ্ছেননা। ফলে দুর্বিষহ ভাবে কাটছে তাদের দিন।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।