২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইব্রাহিম রাইসিকে (৬৩) মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন তিনি।
রবিবার (১৯ মে) আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় জলাধার প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ ৯ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সবাই নিহত হয়েছেন। খবর তেহরান টাইমসের।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে।
অত্যন্ত মেধাবী এ তরুণ মাত্র ২০ বছর বয়সে তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন।
প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু ইরানের জন্য বিরাট এক ধাক্কা। দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন দক্ষ এ রাষ্ট্রপতি।
১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত রাইসি তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপ-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।। সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা।
২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন করে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি। যে কোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা করে কাজ করার সুনাম আছে তার।