ক্যাসিনোকাণ্ডের ২৪ জন সম্রাটের দেশে বিদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬শ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক। মিলারে (milar) এর মাধ্যমে আরো চিঠি পাঠানো হলে, অর্থ পাচার আর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। আসামিদের বিদেশে পাচার করা অর্থ সম্পদ জব্দে তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম জানান, ১৪টি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে নভেম্বরেই।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনো ও জুয়ার আসরে র্যাবের অভিযানে ধরা পড়েন বেশ কয়েকজন শীর্ষ যুবলীগ নেতা, ব্যবসায়ী, কাউন্সিলর, গণপূর্ত কর্মকর্তা ও বিসিবি পরিচালকসহ হাইপ্রোফাইল ফিগার। একই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
শুরু থেকেই ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের দেশে থাকা অবৈধ সম্পদের হিসাব হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও বিদেশে পাচার করা অর্থ আর সম্পদে চক্ষু চড়ক।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের গৃহবধূকে রাজধানীতে আটকে রেখে ধর্ষণ
অনলাইন জুয়ার কারবারি সেলিম প্রধান থাইল্যান্ডে পাচার করেছে ১৩ কোটি টাকা। বিদেশে রয়েছে সাতটি কোম্পানি। বিভিন্ন কোম্পানিতে ২০ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের কোন বৈধ সূত্র নেই।
অবৈধ উপার্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর ও মালেশিয়ায় পাচার করেছেন আরেক আসামি সম্রাট। এর মধ্যে, ২২৭ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার ক্যাসিনোতে করেছেন বিনিয়োগ।
এখন পর্যন্ত ২২ মামলায় ২৪ আসামির প্রায় ৫৮২ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এছাড়া এমএলএআর এর মাধ্যমে বাকি আসামিদের বিদেশে থাকা অবৈধ সম্পদ জব্দের প্রস্তুতি চলছে জোরশোরে।
আসামিদের জব্দ করা সম্পদ বা পাচারের অর্থ ফেরত আনতে দ্রুত বিচার নিস্পত্তির প্রয়োজন উল্লেখ করে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম জানান, ১৭ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হবে নভেম্বরেই।
ক্যাসিনোকাণ্ডের তদন্তের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দু শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক।