ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল

ক্যাসিনোকাণ্ডে ৬০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৯২ বার পড়া হয়েছে

ক্যাসিনোকাণ্ডের ২৪ জন সম্রাটের দেশে বিদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬শ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক। মিলারে (milar) এর মাধ্যমে আরো চিঠি পাঠানো হলে, অর্থ পাচার আর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। আসামিদের বিদেশে পাচার করা অর্থ সম্পদ জব্দে তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম জানান, ১৪টি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে নভেম্বরেই।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনো ও জুয়ার আসরে র‌্যাবের অভিযানে ধরা পড়েন বেশ কয়েকজন শীর্ষ যুবলীগ নেতা, ব্যবসায়ী, কাউন্সিলর, গণপূর্ত কর্মকর্তা ও বিসিবি পরিচালকসহ হাইপ্রোফাইল ফিগার। একই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

শুরু থেকেই ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের দেশে থাকা অবৈধ সম্পদের হিসাব হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও বিদেশে পাচার করা অর্থ আর সম্পদে চক্ষু চড়ক।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের গৃহবধূকে রাজধানীতে আটকে রেখে ধর্ষণ

অনলাইন জুয়ার কারবারি সেলিম প্রধান থাইল্যান্ডে পাচার করেছে ১৩ কোটি টাকা। বিদেশে রয়েছে সাতটি কোম্পানি। বিভিন্ন কোম্পানিতে ২০ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের কোন বৈধ সূত্র নেই।

অবৈধ উপার্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর ও মালেশিয়ায় পাচার করেছেন আরেক আসামি সম্রাট। এর মধ্যে, ২২৭ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার ক্যাসিনোতে করেছেন বিনিয়োগ।

এখন পর্যন্ত ২২ মামলায় ২৪ আসামির প্রায় ৫৮২ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এছাড়া এমএলএআর এর মাধ্যমে বাকি আসামিদের বিদেশে থাকা অবৈধ সম্পদ জব্দের প্রস্তুতি চলছে জোরশোরে।

আসামিদের জব্দ করা সম্পদ বা পাচারের অর্থ ফেরত আনতে দ্রুত বিচার নিস্পত্তির প্রয়োজন উল্লেখ করে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম জানান, ১৭ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হবে নভেম্বরেই।

ক্যাসিনোকাণ্ডের তদন্তের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দু শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক।

ক্যাসিনোকাণ্ডে ৬০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০

ক্যাসিনোকাণ্ডের ২৪ জন সম্রাটের দেশে বিদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬শ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক। মিলারে (milar) এর মাধ্যমে আরো চিঠি পাঠানো হলে, অর্থ পাচার আর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। আসামিদের বিদেশে পাচার করা অর্থ সম্পদ জব্দে তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম জানান, ১৪টি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে নভেম্বরেই।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনো ও জুয়ার আসরে র‌্যাবের অভিযানে ধরা পড়েন বেশ কয়েকজন শীর্ষ যুবলীগ নেতা, ব্যবসায়ী, কাউন্সিলর, গণপূর্ত কর্মকর্তা ও বিসিবি পরিচালকসহ হাইপ্রোফাইল ফিগার। একই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

শুরু থেকেই ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের দেশে থাকা অবৈধ সম্পদের হিসাব হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও বিদেশে পাচার করা অর্থ আর সম্পদে চক্ষু চড়ক।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের গৃহবধূকে রাজধানীতে আটকে রেখে ধর্ষণ

অনলাইন জুয়ার কারবারি সেলিম প্রধান থাইল্যান্ডে পাচার করেছে ১৩ কোটি টাকা। বিদেশে রয়েছে সাতটি কোম্পানি। বিভিন্ন কোম্পানিতে ২০ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের কোন বৈধ সূত্র নেই।

অবৈধ উপার্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর ও মালেশিয়ায় পাচার করেছেন আরেক আসামি সম্রাট। এর মধ্যে, ২২৭ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার ক্যাসিনোতে করেছেন বিনিয়োগ।

এখন পর্যন্ত ২২ মামলায় ২৪ আসামির প্রায় ৫৮২ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এছাড়া এমএলএআর এর মাধ্যমে বাকি আসামিদের বিদেশে থাকা অবৈধ সম্পদ জব্দের প্রস্তুতি চলছে জোরশোরে।

আসামিদের জব্দ করা সম্পদ বা পাচারের অর্থ ফেরত আনতে দ্রুত বিচার নিস্পত্তির প্রয়োজন উল্লেখ করে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম জানান, ১৭ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হবে নভেম্বরেই।

ক্যাসিনোকাণ্ডের তদন্তের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দু শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক।