জীবন পথটি আমাদের ব্যাঁকা। সেই পথে কোথায় কোন বাঁক আছে তা আমরা নিজেরাই জানি না। প্রতিটা বাঁকে লুকিয়ে থাকে বিপদ। তাই বাঁক না বুঝে চলার পথে আমাদের ছোট-বড় সব ধরনের অনেক সিদ্ধান্তই নিতে হয়। কখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে এর বেশিরভাগই আগে থেকে জানা আমরা বুঝতে পারি না। কারণ কখন কী পরিস্থিতি আসবে তা আমরা জানি না।
কিন্তু এখন থেকে সেটা জানতে হবে, নয়ত পস্তাতে হতে পারে। অবাক হচ্ছেন তো? সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আসলে সম্প্রতি এক সমীক্ষা করা হয় যেখানে দেখা গেছে যে ক্ষুধা পেটে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে ভবিষ্যতে তা নিয়ে আফসোসের শেষ থাকে না। অর্থাৎ সিদ্ধান্তটি সবক্ষেত্রে সঠিক নাও হতে পারে।
এই সংক্রান্ত এক বিশেষ গবেষণাও করা হয়েছিল। এতে যারা অংশ নিয়েছিল তাদেরকে প্রথমে দু’ভাগ করা হয়। এক দলকে একবার ভরা পেটে, পরের বার খালি পেটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়। এর থেকে দেখা যায়, খালি পেটে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ভালো মন্দ খেয়াল রেখে তারা সিদ্ধান্ত নেন। অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্ত ভালো বা ঠিক নাও হতে পারে।
আবার পেট ভরা থাকলে তারা তখন ঠাণ্ডা মাথায় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে পারেন। তাই সেই কথা মাথায় রেখে তারপর তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটি আর পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়নি।
এই গবেষণার দায়িত্বে থাকা এক বিশেষজ্ঞ বলেন যে বড় হোক বা ছোট সিদ্ধান্ত, খালি পেটে বা ক্ষুধার্ত অবস্থায় তা নিলে সেই সিদ্ধান্ত সবসময় সঠিক হয় না। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন যে আমাদের খুব খিদে পেলে আমরা অনেক সময় সামনে সুপারমার্কেট দেখতে পেলে ভালো বা মন্দ না ভেবেই সেখান থেকে খাবার কিনে ফেলি। খাবার পচা হোক বা বাসি তা ভাবি না।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সে সব খাবার আদৌ স্বাস্থ্যকর হয় না ও তাতে আমাদের ক্ষতি হয়ে থাকে। খুব গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও তাই।