খাগড়াছড়িতে আমন চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা
মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছ, খাগড়াছড়িঃ আমন ধান কাটার পর শাক-সবজি, ভুট্টাসহ নানা ধরনের চাষাবাদ শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে বোরো ধান রোপণের সময়। আবার বোরোর পরেই শুরু হয় আমনের আবাদ। তাই আমন লাগানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খাগড়াছড়ির কৃষকেরা।
জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা পুরাদমে আমন ধান লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠের পর মাঠ কৃষি শ্রমিকেরা ধান রোপন করে যাচ্ছেন। পুরুষ ও নারী শ্রমিক একই সঙ্গে আমন ধানের চারা রোপন করছে। এদিকে জুন ও জুলাই মাসে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আমন ধানের চারার কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তাই এবছর আমন ধানের চারা সংকট দেখা দেবে না বলে জানান কৃষকেরা।
এদিকে প্রচন্ড গরম আর বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা অবধি জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত। কেউবা জমিতে চাষ দিচ্ছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল পাড়া কিংবা জৈব সার বিতরণ কাজে ব্যস্ত। আনুসঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউবা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন জমিতে। চারা রোপণের প্রতিটি কাজ ঠিকমতো করে ধান লাগানোর কারণে খুশি ও শান্তিতে এ জেলার কৃষকরা।
কারণ প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। আর বোরোর ভালো ফলন ও ভালো দাম পাবার পর আরো বেশি পরিমাণে আমন চাষে উৎসাহিত হয়ে উঠেছে কৃষকরা। তারা পুর্ণ উদ্যামে কাজ করে চলেছে আমন রোপনে। খাগড়াছড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানাগেছে, এবার খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় পুষি ২৫ হাজার ২শ ৮হেক্টর ও হাইব্রিড ১হাজার ৭শ ৮২হেক্টর মোট ২৬ হাজার ৯শ ৯০হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা বৃষ্টির পানি পেয়ে আমন ধানের চারা লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পানছড়ির কৃষক প্রতিকুল চাকমা জানান, তিনি এবার বিআর-৪৯ জাতের ধান লাগাচ্ছেন ৪০ শতক জমিতে। গত বছর এই ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এবারো তিনি এই ধান আরো ১শত জমিতে বেশি আবাদ করছেন। খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মর্তুজ আলী জানান, জেলায় এবার আবহাওয়া ভালো রয়েছে।
কৃষকেরা পুরো দমে আমন ধানের চারা লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই সেচ দিতে হবে না। ফলে সেচ খরচ কমবে। আর আমরা চাষিদের চারা গুলি লাইন করে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি বোরোর মতই আমনেরও বাম্পার ফলন হবে বলেও আশা করছি।