খাগড়াছড়িতে বিএনপির বিরুদ্ধে সাংবাদিক ও আ.লীগ নেতার মামলা
মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ
খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়াসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক পাঁচটি মামলায় বিএনপির প্রায় ১৭শ নেতাকর্মীকে আসামি করা হলো।
গত বুধবার (৩১ আগষ্ট) রাতে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নুরুল আজম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অপর উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলো, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার, সহ-সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, বেলাল হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, আবু তালেব, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান সাগর, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদুল হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম, জেলা কৃষক দলের সভাপতি পারদর্শী বড়ুয়া।
সাংবাদিক বাদী নুরুল আজম মামলায় হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা তার ওপর হামলার চালান বলে অভিযোগ আনেন। চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা করতে তার বিলম্ব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়ার অভিযোগ, ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি বানচাল করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর পুরো জেলায় প্রত্যেক বিএনপির নেতাকর্মীর বাড়িঘরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
গত ১৮ জুলাই খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অফিসে পাল্টা-পাল্টি হামলা এবং দুইপক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় সাংবাদিক ও পুলিশসহ আহত হন ৫০ জন। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও পৌরসভার পক্ষ থেকে পৃথক চারটি মামলায় সাড়ে ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও দেড় হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। তবে এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়নি। পরে দলটির পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয় বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।