পাঁচ মাস ধরে তিন খালাতো ভাই মিলে ধর্ষণ করছিল ১২ বছরের এক কিশোরীকে। পরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে তিনজনই পালিয়ে যায়। ভারতের গুজরাটের নওসারী জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সম্প্রতি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখনই এই ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে।
জানা গেছে, কিশোরীর বাবা দিনমজুর। পাঁচ মাস আগে কাজিনদের একজন প্রথম ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। এরপর সে আরো দুই ভাইকে ঘটনার কথা জানালে, তারাও ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
কিশোরী যেন মুখ বন্ধ রাখে সেজন্য হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। এরপর গত পাঁচ মাস ধরে নানা সময়ে একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বাড়িতে অভিভাবকরা কেউ না থাকলে, সেই সুযোগে যৌন নিগ্রহ করত কাজিনরা।
কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের সবার বয়স ১৮ বছরের নীচে। দিন কয়েক আগে মেয়েটির পেটে ব্যথা শুরু হলে, মা তাকে নিয়ে হাসপাতালে যান।
পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা জানান, কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। চিকিত্সার জন্য বুধবার রাতে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার বয়ান নিয়েছে পুলিশ। মেয়েটির মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেছে।
পুলিশ আরো জানায়, কিশোরীর সম্পর্কিত ভাই তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তারা গা ঢাকা দিয়ে আছে। খুব শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। অভিযুক্তরা নাবালক হওয়ায় পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।