সারাবিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। এই সময় সতর্ক থাকাটা খুব বেশি জরুরি। এছাড়াও যেকোনো সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া খুব জরুরি।
এছাড়া করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতেও এ সময় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ রোধে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও মাস্ক পরার পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং জীবাণুর সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতাও বাড়ে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দেবাশিস ঘোষ বলেন, এ সময় ঘরে তৈরি কম তেলে বানানো সুষম খাবার খাবেন। এছাড়া একটি বিশেষ পানীয় রয়েছে, যা সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম করলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
যেভাবে তৈরি করবেন এই পানীয়
১০টি কাঠবাদাম সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। এবার পাঁচটি খেজুর, আধা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, এক চিমটি এলাচ গুঁড়া, এক চা চামচ ভালো ঘি ও এক কাপ দুধ একসঙ্গে মেশান। উপাদানগুলো ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে এক চামচ মধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন।
উপকারিতা
>> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও চেহারা উজ্জ্বল হয়।
>> হলুদ জীবাণুনাশক। প্রদাহের প্রবণতা কম রাখে।
>> এলাচ খেলে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকে।
>> কাঠবাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি২ এবং ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার ও ফসফরাস। নিয়মিত খেলে কোষের ক্ষতির হার কমে যায়। ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, মানসিক উদ্বেগ-অবসাদ কমে।
>> খেজুরে আছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন ও আরও নানা রকম খনিজ। আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা কোষের ক্ষতির হার কমিয়ে কমায় সব ধরনের অসুখের প্রবণতা।
>> শরীরে কিছুটা ফ্যাটের জোগান না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে না। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে দিনে ছোট এক চামচ ঘি খেতে পারেন।