সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাগদত্তা হাতিতে চেঙ্গিস। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এই মামলা দায়ের করেন তিনি। সালমানের নির্দেশে খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সালের ২ অক্টোবরে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে নিখোঁজ হন খাশোগি। পরে তুর্কি কর্তৃপক্ষ তথ্য প্রমাণসহ জানায়, কনস্যুলেটে সৌদি আরবের ভাড়া করা একদল খুনির হাতে নির্মম হত্যার শিকার হন ওয়াশিংটনের এ কলামিস্ট।
হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। ঝলসে দেয়া হয় অ্যাসিড দিয়ে। ২ বছর পার হলেও এখনো তার মরদেহের হদিস মেলেনি।
তবে, তার নিখোঁজ রহস্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কর্মকর্তাদের ভুলে নিহত হন ওই সাংবাদিক।
করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাগদত্তা হাতিজে চেঙ্গিস ও ডেমোক্র্যাসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ নামের মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে। খাশোগি হত্যার কিছুদিন আগে এই সংগঠনটি গঠন করা হয়েছিল।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একদল কর্মকর্তার কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির ফলে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
বিবৃতিতে নিহতের বাগদত্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনও কিছু সম্ভব বলে বিশ্বাস করতেন জামাল। ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার জন্য আমিও যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখছি।
উল্লেখ্য, খাশোগির সন্তানরা তাদের বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর ফলে সৌদি আরবে হত্যাকারীদের কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে না। ৭ সেপ্টেম্বর খাশোগি হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া পাঁচজনের সাজা কমিয়ে দেয় সৌদি আদালত।