ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। রোববার (১১ অক্টোবর) ঢাকা-৫ আসনের নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
আলাল বলেন, এই সরকারের উন্নয়ন হলো- খুন, গুম, হত্যা ও ধর্ষণের উন্নয়ন। আসুন শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়ার ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করি।
যারা নিজেদের দল সামলাতে পারে না, তারা কী আন্দোলন করবে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, বাংলাদেশে আপনারা এখন যে নির্বাচন দেখছেন একে কী নির্বাচন বলে? এই আকাশের সূর্য পশ্চিম দিকে উঠে পূর্ব দিকে অস্ত যায়- এটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে, যদি বঙ্গোপসাগরের পানি একরাতে শুকিয়ে যায় এটাও সম্ভব হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কখনও সম্ভব নয়। আগে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে যেত জনগণ, এখন যায় চতুষ্পদ প্রাণী। নির্বাচন ব্যবস্থার এ ধ্বংস করতে সহযোগিতা করেছে এই পা চাটা নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, ১৭ তারিখ যদি ঢাকা-৫ এ ভালো নির্বাচন না হয়- তাহলে আপনাদের বলে দিতে চাই- যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে তাদেরও ফাঁসি হতে হবে।
এ সময় বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৭ তারিখ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকে আপনাদের ভোট আপনারা দেবেন। এ সরকার আপনাদের ভোট হরণ করেছিল। সেটা করার পেছনে কারণ একটাই তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আপনাদের হরণকৃত ভোট আমরা আবার প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আগামী ১৭ তারিখ নির্বাচনে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ সেটা আমরা প্রতিষ্ঠিত করব।
তিনি বলেন, আমরা যখনই কোনো কিছু করি- নির্বাচন কমিশন তখনই আমাদের বাধা দেয় অথচ আমার প্রতিপক্ষকে কোন বাধা দেয় না। আমি নির্বাচন কমিশনকে বিনীতভাবে অনুরোধ করব একটা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করেন। আপনাদের তো কোন ক্ষতি হবে না। দয়া করে ১৭ তারিখ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করুন। এ নির্বাচন গণতান্ত্রিক অধিকার, আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমি নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি এই নির্বাচনে কোনো কারচুপি করার চেষ্টা করা হয় তাহলে এখান থেকেই এ সরকার পতনের আন্দোলন ডাকা হবে এবং সে আন্দোলন এই নির্বাচন কমিশন পতনেরও আন্দোলন হবে।