আমির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃপটুয়াখালীর গলাচিপায় তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের পর অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটনো হয়। এ ঘটনায় গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোসাঃ দেলোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। স্টাফ নার্স মোঃ দেলোয়ার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
পুলিশ জানা যায়, গলাচিপার পানপট্টি জয়মালিক গ্রামের কিশোরী একই এলাকার বেল্লাল হাওলাদারের ছেলে মাসুম হাওলাদার গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে কৌশলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এর পর কিশোরী গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। এ ঘটনা জানাজানি হলে গত ৪মার্চ তারিখ দুপুরের দিকে অভিযুক্ত মোসা. আখিনুর বেগম ও মোসা. দিনা বেগম কিশোরীটিকে ভুল বুঝিয়ে গলাচিপা সদর হাসপাতালে আসামীদের পরিচিত নার্স মোসাঃ দেলোয়ারা বেগমকে দিয়ে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটায়। গর্ভপাত ঘটানোর ফলে কিশোরীর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এর পর কিশোরীর মা তার মেয়েকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। পরে এ ধর্ষণ ও অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে কিশোরীর বাবা গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের জয়মানিক গ্রামের মোঃ বেল্লাল হাওলাদারের ছেলে মোঃ মাসুম হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে তার বাবা বেল্লাল হাওলাদার, মা রিনা বেগম, আখিনুর বেগম, মোঃ সোনা মিয়া ও গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোসাঃ দেলোয়ারা বেগমকে আসামী করে গত ১১ মার্চ গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
দেশে তিন কার্যদিবসে মাদক মামলার প্রথম রায়
(মামলা নম্বর জিআর-৭৮-২০) এ বিষয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গলাচিপা থানার এসআই মোঃ আল মামুন বলেন, এ মামলার প্রধান আসামী মাসুম হাওলাদারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন জামিনে মুক্ত আছেন। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা সাথে সাথে আসামীদের গ্রেফতার করেছি। এখন আদালতে বিচার হবে ।