গাইবান্ধায় আরিফুল হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন, ২ জন খালাস
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিশু আরিফুল ইসলাম (১৩) হত্যা মামলায় পাঁচজন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
৩১ মার্চ বুধবার দুপুরে জেলা সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ও খালাস পাওয়া আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোলজার খন্দকার, সাহেব খন্দকার, হারুন খন্দকার, ফরিদুল খন্দকার, জরিদুল খন্দকার। এবং এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন আনোয়ারা বেগম ও হালিমা বেগম। তাদের সবার বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট এলাকায়।
আদালতের পাবলিক প্রসিউকিটর (পিপি) ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট গ্রামের বাকি মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ গোলজার রহমান গংরা। পরে ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরিফুল। এ ঘটনায় ১৮ ফেব্রুয়ারি সাতজনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করে আরিফুলের নানা জালাল উদ্দিন।
পরে মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশীট) দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৩১ মার্চ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন (অামৃত) কারাদণ্ড ও দুই আসামিকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর পরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পুলিশ পাহাড়ায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতে উপস্থিত আরিফুল ইসলামের বাবা বাকি মিয়া বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই তার শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। দীর্ঘ ৮ বছর আদালতে মামলার কার্যক্রম শেষে পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।