অনলাইন ডেস্কঃ
গাইবান্ধার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে খামারী আহাদুলের দামী টাকার সিরাজী জাতের কবুতর চুরি। ধরা পড়ে কবুতর ফেরত। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে চোর গং-দের বিষ প্রয়োগে হাঁস ফার্মের ৭০টি হাঁস হত্যা। বাঁধা নিষেধ করলে চোর নুর আলম গং-রা হাঁস ও কবুতর মালিক আাহদুল, স্ত্রী ও তাদের দুই শিশু নাবালক ছেলেকে মারপিটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আহাদুল। মামলার বিবরণে প্রকাশ, গাইবান্ধা সদর থানার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে খামার ব্যবসায়ী আহাদুলের সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী নুর ইসলামের ছেলে নুর আলম গং-দের সাথে পারিবারিক ও সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছিলো। আর এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষ নুর আলম প্রায় দু পূর্বে আহাদুলের ৪২ হাজার টাকা দামের ৬ জোড়া সিরাজী জাতের কবুতর তার খামার থেকে চুরি করে নিয়ে যায়।
এ কবুতরগুলো চুরির কথা এবং কবুতরের সন্ধান পান মালিক আহাদুল। পরে কবুতর ফেরত দেয় চোর নুর আলম এবং আর কোনো ক্ষতি করবে না বলে অঙ্গীকার করে। কিন্তু থেমে থাকেনি নুর আলমের ক্ষতির পরিকল্পনা সে সুযোগ খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারী আহাদুলের হাঁসের ফার্মের পাশের জমিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভোর রাতে বিষ প্রয়োগ করে। আর এ বিষপানে ৭০টি হাঁস মারা যায়। এ বিষয়ে পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি এলাকাবাসীকে অবগত সহ কেনো বিষ প্রয়োগে হাঁসগুলো হত্যা করা হলো তার প্রতিবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত আহাদুল।
আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত কবুতর চোর ও বিষপ্রয়োগে হাঁস হত্যাকারী নুর আলম সোহাগ সরদার,ইয়াছিন আলী মন্টু গং-রা সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোডা, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে দশটার দিকে আহাদুলের বাড়ির উঠানে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এতে বাধানিষেধ করলে নুর আলম গং-রা আচমকা এলোপাথাড়ি মার ডাং শুরু করে মাথা ফেটে দিয়ে হথ্যার চেষ্টা করা হয়। এতে গুরুতর আহত হয় আহাদুল (৪৫)।
এসম স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৪২) ও তাদের দুই নাবালক ছেলে শুভ মিয়া (১৫) ও সৌরভ মিয়াকে মার ডাং এ গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে সশস্ত্ররা। তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। এ সময় চিকিৎসক আহাদুলের মাথায় ৮টি সেলাই, তার স্ত্রী ফেরদৌসীর মাথায় ৬টি সেলাই ছোট ছেলে সৌরভের মাথায় ৭টি সেলাই দেন। তাদের হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে বলে আহতরা জানান।
তাদের অবস্থা গুরুতর। এব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানায় ভুক্তভোগী আহাদুল বাদী হয়ে নুর আলম সহ ৯জনকে আসামি করে ১৩ ফেব্রুয়ারি একখানা মামলা (নং ৩০) দায়ের করেন। আর এ মামলা দায়েরের পর আসামি ও তার পক্ষের লোকজন মামলার সাধ মিটে দেবে এবং মামলা তুলে নেয়াসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে বলে ভুক্তভোগী আহাদুল তার পরিবার এ প্রতিবেদককে জানান। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারটি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।