গাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ।১০ লাখেরও বেশি লোকের পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধাগুলো বিমান হামলার শিকার হয়েছে। রাস্তায় কঠিন বর্জ্য জমেছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ফিলিস্তিনির গাজার বাসিন্দারা অসহায় হয়ে মানবেতর দিন যাপন করছেন। বিদ্যুত, পানি ও খাবার নেই। চারদিকে হাহাকার।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর টানা বিমান হামলার কারণে গাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ। অন্যদিকে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিয়েছে ইজরাইল। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে গাজাবাসীর। এর মধ্যে লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। এরই মধ্যে ১২শর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বর্বর ইসরাইলী বাহিনীর হামলায়।
জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, ইসরাইলের ভারী বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় গাজা উপত্যকায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার দিন শেষে গাজায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ২৪ ঘণ্টা আগে প্রদত্ত পরিসংখ্যান থেকে আরো ৭৫ হাজার বেড়ে এই তিন লাখ ৩৮ হাজার ৯শ ৩৪ জনে পৌঁছেছে।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ফিলিস্তিনি হামাস যোদ্ধাদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল ২৩ লাখ লোকের ঘনবসতিপূর্ণ গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে এই মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে।
গাজায় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইলের বিমান ও কামান হামলার অব্যাহত অভিযানে ১ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
ওসিএইচএ জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের সমর্থনকারী জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় চেয়েছে।
আরো প্রায় ১৫ হাজার লোক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পরিচালিত স্কুলে পালিয়ে গেছে, যখন ১ লাখের বেশি গাজা শহরের আত্মীয়, প্রতিবেশী এবং একটি গির্জা এবং অন্য সুবিধার আশ্রয় নিচ্ছে।
ওসিএইচএ গাজার গণপূর্ত ও আবাসন মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা উদ্ধৃত করে বলেছে, বোমা হামলা গাজায় কমপক্ষে দুই হাজার ৫শ ৪০টি আবাসন ইউনিট বসবাসের অযোগ্য করে দিয়েছে। ২২ হাজার ৮শ ৫০টি আবাসন ইউনিট মাঝারি থেকে ছোটখাটো ক্ষতি হয়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটিও ইসরাইলি বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ধ্বংসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
১০ লাখেরও বেশি লোকের পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধাগুলো বিমান হামলার শিকার হয়েছে। রাস্তায় কঠিন বর্জ্য জমেছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ফিলিস্তিনির গাজার বাসিন্দারা অসহায় হয়ে মানবেতর দিন যাপন করছেন। বিদ্যুত, পানি ও খাবার নেই। চারদিকে হাহাকার।