ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল

চট্টগ্রামে চেয়ারম্যান আমজাদ হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

News Editor
  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১১০৬ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ ২২ বছর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এসইউএম নুরুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আমজাদ হোসেনের স্ত্রী ও মামলার বাদী সৈয়দা রওশন আক্তার বলেন, ‘স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে ২১ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি আর কিছু চাই না।’

১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর সাতকানিয়া মির্জারখিল দরবার শরিফের সামনে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

আমজাদ হোসেন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার কামাল বলেন, সাতকানিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর সোনাকানিয়া ইউনিয়নের দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন। তিনি ইউনিয়নের অপরাধনির্মূল ও সন্ত্রাসদমনে প্রতিবাদী ভূমিকা রাখার ফলে দুর্বৃত্তদের টার্গেটে পরিণত হন।

সারওয়ার কামাল বলেন, ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর রাতে মির্জারখিল দরবার শরিফে ওরশ চলাকালীন দরবার শরিফের উত্তর গেট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে আমজাদ হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রওশন আকতার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে সাতকানিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে সিআইডি পুলিশের হাতে তদন্তের ভার ন্যস্ত হয়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি পুলিশ ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। চলতি বছরের ১১ নভেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ওই দিনই ১০ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় মোট ২০ আসামির মধ্যে একজন মারা গেছেন, বাকি ৯ জন পলাতক।

সিনহা হত্যা মামলার ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা

মেজর সিনহা হত্যা: পরবর্তী শুনানি ১৩ ডিসেম্বর

মেজর সিনহা হত্যা: কনস্টেবল রুবেল ফের রিমান্ডে

সিনহা হত্যা: ‘অবৈধ’ দাবি, আদালতে রিভিশন আবেদন

ওসি প্রদীপ অত্যন্ত নির্মম ও অমানবিকভাবে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন

রিফাত হত্যা মামলার রায় অন্যান্য মামলায় প্রভাব ফেলবে : আইনমন্ত্রী

মেজর সিনহা হত্যার মূল আসামি কারাগারে আছে কিনা, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

চট্টগ্রামে চেয়ারম্যান আমজাদ হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০১:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ ২২ বছর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এসইউএম নুরুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আমজাদ হোসেনের স্ত্রী ও মামলার বাদী সৈয়দা রওশন আক্তার বলেন, ‘স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে ২১ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি আর কিছু চাই না।’

১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর সাতকানিয়া মির্জারখিল দরবার শরিফের সামনে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

আমজাদ হোসেন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার কামাল বলেন, সাতকানিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর সোনাকানিয়া ইউনিয়নের দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন। তিনি ইউনিয়নের অপরাধনির্মূল ও সন্ত্রাসদমনে প্রতিবাদী ভূমিকা রাখার ফলে দুর্বৃত্তদের টার্গেটে পরিণত হন।

সারওয়ার কামাল বলেন, ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর রাতে মির্জারখিল দরবার শরিফে ওরশ চলাকালীন দরবার শরিফের উত্তর গেট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে আমজাদ হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রওশন আকতার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে সাতকানিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে সিআইডি পুলিশের হাতে তদন্তের ভার ন্যস্ত হয়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি পুলিশ ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। চলতি বছরের ১১ নভেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ওই দিনই ১০ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় মোট ২০ আসামির মধ্যে একজন মারা গেছেন, বাকি ৯ জন পলাতক।

সিনহা হত্যা মামলার ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা

মেজর সিনহা হত্যা: পরবর্তী শুনানি ১৩ ডিসেম্বর

মেজর সিনহা হত্যা: কনস্টেবল রুবেল ফের রিমান্ডে

সিনহা হত্যা: ‘অবৈধ’ দাবি, আদালতে রিভিশন আবেদন

ওসি প্রদীপ অত্যন্ত নির্মম ও অমানবিকভাবে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন

রিফাত হত্যা মামলার রায় অন্যান্য মামলায় প্রভাব ফেলবে : আইনমন্ত্রী

মেজর সিনহা হত্যার মূল আসামি কারাগারে আছে কিনা, প্রশ্ন গয়েশ্বরের