চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অবরুদ্ধ, গেইট ভাংচুর
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে উপাচার্য ড. এ কিউ এম মাহবুবকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে মাস্টাররোলের কর্মচারীরা। আজ বুধবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উপাচার্য দপ্তরসহ প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার একাংশ অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপাচার্যকে অবরুদ্ধের বিষয়ে মাস্টাররোল কর্মচারী রিপন গাজী বলেন, আমরা গত তিন বছর যাবৎ অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করছে। মাঝে প্রায় ১৩ মাস আমাদের বেতন বন্ধ ছিলো। নতুন উপাচার্য আসার পর চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা এখনও আশ্বাসের কোনো বাস্তবায়ন দেখিনি। এখন আমাদের একটাই দাবি নীতিমালা প্রণয়ন করে চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গেট আটকানো থাকবে এবং অবরোধ চলবে।
এঘটনায় ঘটনা স্থলে সহকারী প্রক্টর সাদ্দাম হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হয়ে অবস্থান কর্মসূচী প্রত্যাহারের অনুরুদ করলেও আন্দোলনকারীরা তাদের অবস্থানে অটল থাকেন। পরবর্তীতে স্থায়ী কর্মচারী সমিতির সভাপতি তরিকুল প্রশাসনিকের ভবনের ২য় তলায় উপস্থিত হলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
স্থায়ী কর্মচারী সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন,
সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, এটা বঙ্গবন্ধুর নামে বিশ্ববিদ্যালয়, এরা বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা পয়সা দিয়ে এখানে এসেছে। নির্বাচনকে বানচাল করা ও বড় আকারে বিস্ফোরণ করার জন্য এখানে উপাচার্য দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান করছে। তারা দেখাতে চায় সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বয়ং গোপালগঞ্জে নেত্রীর অবস্থান নেই এটা মিডিয়াকে দেখানোর জন্য তারা এই অবস্থান করছে। কিছু অসাধু লোক এখানে এসে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমান বলেন, গেট ভাঙচুর এর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে আসার আগে মাস্টাররোলে প্রায় দেড় শতাধিক কর্মচারী নেওয়া হয়েছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এত সংখ্যক কর্মচারীর পদ নেই। ইউজিসির কাছে সম্প্রতি কিছু পদে লোক নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে হয়ত ১২-১৩টি কর্মচারীর পদ আসতে পারে। ইউজিসি অনুমতি না দিলে মাস্টার রোলে চাকরীরত ১শ ৩২ জন কর্মচারীকে চাকরি স্থায়ীকরণের সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য খন্দকার নাসিরউদ্দিন মাস্টাররোলে এইসব কর্মচারীদের নিয়োগ দিয়েছিলেন।