সরকার পতনের আওয়াজ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমি বারবার বলছি এই সরকার আর বেশি দিন নেই। চারদিক থেকে কেন জানি এই সরকারের পতনের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
ইতিহাস বিকৃত করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাটক বানানোর প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, করেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন, সেটা মানুষ নাটক বলেই মনে করে।
জিয়াউর রহমানকে খাটো করে নাটক নির্মাণের নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, আমি আগেও বলেছি খালেদ, শামীম, সম্রাট, জেকেজি, সাবরিনা ও সাহেদ- এদের তো কোটি কোটি টাকা, তখন নাট্যকাররা মনে করেছে আমরাও এমন একটা কাজ করি প্রধানমন্ত্রী আমাদের বাহবা দেবে।
এমসি কলেজে গণধর্ষণ: গাড়িটি ধুয়ে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতে চেয়েছিল তারা
ইতিহাসের পটভূমি তুলে ধরে রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন কোথায় তার স্ত্রী কোথায় তার সন্তান তাদের কথা চিন্তা করেননি। কত বড় দেশপ্রেমিক হলে, কত বড় দেশপ্রেমের আগুন তার হৃদয়ের মধ্যে জ্বলে উঠলে সব স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু দেশের কথা চিন্তা করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেই বীরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে।
নাট্যকারদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ওরা জানে না বাংলার মাটি চৈত্র মাসে কঠিন রূপ ধারণ করে। এই মাটি যখন আপনাদের দিকে নিক্ষিপ্ত করবে জনগণ, তখন আপনারা বাংলাদেশের কোনো জায়গায় আশ্রয় পাবেন না। এগুলো মাথায় রেখে অপকর্ম বন্ধ করুন।
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী আরও বলেন, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। সীমান্তে বিএসএফের হাতে একটা দুইটা লাশ পড়ছে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) একটাও কথা বলতে পারেন না।
তিনি বলেন, যখন বিএসএফ আমাদের লোক ধরে নিয়ে গিয়ে মারে, তখন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরা হল সন্ত্রাসী। বিজিবি বলে এরা গরু চোর। অর্থাৎ বিএসএফের রক্তপাতের এরা সাফাই গাইছেন।