ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস

চিকিৎসা না পেয়ে দুর্ভোগে রোগীরা

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০২:১৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৪ বার পড়া হয়েছে

আস্থা ডেস্ক :চিকিৎসা না পেয়ে দুর্ভোগে রোগীরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) মারধর ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোববার সকাল থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় কারণে জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন তাঁরা। এতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে অনেক রোগীকে।

হামলার প্রতিবাদে জরুরি ও বহির্বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তবে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।হামলার প্রতিবাদে জরুরি ও বহির্বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তবে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এই হাসপাতালে বর্হিবিভাগ ও জরুরি বিভাগে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি রোগী দৈনিক সেবা নেন। রোববার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসা নিতে আসা জরুরি বিভাগের ভেতরে শতাধিক রোগীকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাদের।

শনিবার রাতে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তবে তার আগেই রোববার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। সকালে চিকিৎসকরা হাসপাতালে এসে কাজ শুরু করলেও ধীরে ধীরে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা কক্ষ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে জরুরি টিকিট কাউন্টারটিও বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড় বাড়তে থাকে।

৫ আগস্ট আন্দোলনে গিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছোররা গুলি লাগে আরাখ খান নামের একজনের। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখি কর্মবিরতি চলছে। চিকিৎসকদের দেখা নেই। এভাবে চলছে, আমরা চিকিৎসা পাব কীভাবে।

সৌদি আরব প্রবাসী আফরোজা ৫০ দুই মাসের জন্য ঢাকা এসেছেন। ২৬ আগস্ট ঢামেকে ১০৯ ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তার পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে। আজ রোববার অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল। তবে কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসা পাননি। ভোগান্তির শিকার এই রোগীর প্রশ্ন, এখন কি করব?

রোববার সকাল থেকেই হাসপাতালে সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। সমকালকে তিনি বলেন, শনিবার খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলে ওই ঘটনায় আহত এক গ্রুপ চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসে।

পরে অপর একটি গ্রুপ চাপাতি নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। একপর্যায়ে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়। আটকরা সবাই রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা।

আস্থা/ ই

ট্যাগস :

চিকিৎসা না পেয়ে দুর্ভোগে রোগীরা

আপডেট সময় : ০২:১৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আস্থা ডেস্ক :চিকিৎসা না পেয়ে দুর্ভোগে রোগীরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) মারধর ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোববার সকাল থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় কারণে জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন তাঁরা। এতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে অনেক রোগীকে।

হামলার প্রতিবাদে জরুরি ও বহির্বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তবে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।হামলার প্রতিবাদে জরুরি ও বহির্বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তবে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এই হাসপাতালে বর্হিবিভাগ ও জরুরি বিভাগে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি রোগী দৈনিক সেবা নেন। রোববার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসা নিতে আসা জরুরি বিভাগের ভেতরে শতাধিক রোগীকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাদের।

শনিবার রাতে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তবে তার আগেই রোববার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। সকালে চিকিৎসকরা হাসপাতালে এসে কাজ শুরু করলেও ধীরে ধীরে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা কক্ষ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে জরুরি টিকিট কাউন্টারটিও বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড় বাড়তে থাকে।

৫ আগস্ট আন্দোলনে গিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছোররা গুলি লাগে আরাখ খান নামের একজনের। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখি কর্মবিরতি চলছে। চিকিৎসকদের দেখা নেই। এভাবে চলছে, আমরা চিকিৎসা পাব কীভাবে।

সৌদি আরব প্রবাসী আফরোজা ৫০ দুই মাসের জন্য ঢাকা এসেছেন। ২৬ আগস্ট ঢামেকে ১০৯ ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তার পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে। আজ রোববার অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল। তবে কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসা পাননি। ভোগান্তির শিকার এই রোগীর প্রশ্ন, এখন কি করব?

রোববার সকাল থেকেই হাসপাতালে সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। সমকালকে তিনি বলেন, শনিবার খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলে ওই ঘটনায় আহত এক গ্রুপ চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসে।

পরে অপর একটি গ্রুপ চাপাতি নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। একপর্যায়ে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়। আটকরা সবাই রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা।

আস্থা/ ই