জরুরি প্রয়োজনে চীনের পরীক্ষামূলক করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউিএইচও)। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের (এনএইচসি) কর্মকর্তা ঝেং ঝংওয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার এনএইচসির এই কর্মকর্তা বলেছেন, গত জুনের শেষ দিকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের একটি পরীক্ষামূলক পরিকল্পনা অনুমোদন করেছিল চীনের মন্ত্রিসভা। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীন সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিকে বিষয়টি জানানো হয়। সম্প্রতি তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে সমর্থন পাওয়া গেছে।
এদিকে, শুক্রবার সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক মারি এনজেলা সিম জানিয়েছেন, যেকোনো স্বাস্থ্য বিষয়ক পণ্য জরুরি ব্যবহারের জন্য সব দেশের জাতীয় নিয়মাবলি ও আইন রয়েছে। চীনসহ অনেক দেশই এটি ব্যবহার করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জরুরি ব্যবহার্য পণ্যের তালিকা রয়েছে এবং চিকিৎসার জন্য কয়েকটি পণ্যের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গত জুলাই থেকে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে জরুরি ব্যবহার কর্মসূচির আওতায় মানবদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছে চীন। তবে এসব ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ও কার্যকারিতা এখনো পুরোপুরি প্রমাণিত হয়নি। অনেক পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ এবং ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকেরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নিরাপদ প্রমাণিত হওয়ার আগেই করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদনের বিষয়ে সতর্ক করেছে।
আর পড়ুন :ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র বানাচ্ছে ভারত
ইতিহাসে আমি প্রথম যেখানে সবাই ধর্ষিতার ছবি দেখতে চাচ্ছে
ভাই আমার মা অসুস্থ, একটা টিকেট দিয়ে আমারে দেশে পাঠান
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৩৮টি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে চীনের রয়েছে ১১টি ভ্যাকসিন। সেগুলোর মধ্যে আবার তিনটি তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পৌঁছে গেছে।
চীনে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য যে ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেটি তৈরি করেছে চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ করপোরেশন বা সিনোফার্ম। আগামী বছরের শুরুতেই তাদের ভ্যাকসিন বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।