চুক্তির বিরোধিতা করে বিএনপি লংমার্চ করে ছিল-ওয়াদুদ ভুঁইয়া
মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৭তম বর্ষপূর্তিতে চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, আজ থেকে ঠিক ২৭ বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অস্ত্রবাজী অবসানের ওয়াদা দিয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে তখনকার একমাত্র গেরিলা সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিলো, তাতে কি পার্বত্য জনপদে আসলেই শান্তির পথ সুগম হয়েছে? পার্বত্য চট্টগ্রামে কি প্রকৃতপক্ষেই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে?
তিনি আরো লেখেন, আমরা তো এখনও পাহাড়ে স্পষ্ট শুনতে পাই অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি। এখনও প্রায়শই বারুদের গন্ধ লাগে নাকে। মাঝে মাঝেই তো শোনা যায় ধর্ষিতা বোনের আত্মচিৎকার। এখনো তো দূর হলো না পাহাড়ি-বাঙালি বিদ্বেষ, বৈষম্য।
ওয়াদুদ ভূঁইয়া চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি বলেন, ওই চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ি এবং বাঙালির বৈষম্য আরো অনেক বেশি সুদৃঢ় করেছে স্বৈরাচারী হাসিনা।
তিনি চুক্তির বিরোধিতা করে তৎকালীন বিএনপি সরকারের লংমার্চের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার এবং নিরাপত্তাহীনতার চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা, বহুপক্ষীয় আলোচনা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান