জেলা প্রতিনিধি:
তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। গতকাল সোমবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এটি চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত ছয় দিন ধরে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। গত বুধবার বিকেল থেকে পারদের তাপমাত্রা নামতে শুরু করে গত রোববার এসে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল সেটি আরও কমে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র এই শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
আরও পড়ুন:আলমডাঙ্গায় ধানের শীষ ও মোবাইল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে দুর্বৃত্তদের হামলা-ভাঙচুর
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ জানান, সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত রোববার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জনজীবন। প্রচণ্ড শীতের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। সাধারণ মানুষকে শীতের কারণে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সড়কে মানুষের চলাচল কম। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে কাজের আশায় শহরে এসে কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অনেককে। সারা দিন বসে থেকেও মিলছে না কোনো কাজ।
যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কয়েকদিন ধরে চলা শীতের প্রকোপে শিশু ও বয়স্করা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৃদ্ধি পাওয়া রোগীদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করায় বেশি। চিকিৎসকেরা বলছেন শীতের প্রকোপ বাড়ার কারণেই শিশু ও বয়স্কদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।