জেলা প্রতিনিধি:মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে আশ্রয়স্থল পাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার ৯৯৭টি ভূমিহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলার ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
প্রথমধাপেই ১৩৪ টি পরিবার পাবেন এসব ঘর। ডিসি নজরুল ইসলাম সরকার প্রায় কয়েক দিন পরপরই জেলার চারটি উপজেলাতে নির্মাণাধীন প্রকল্পের ঘরগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করছেন।
তবে, ঘর নির্মাণ করে দেয়ার কথা বলে গৃহহীনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বিরুদ্ধে। সে অভিযোগ শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে ডিসি কার্যালয়ে।
ডিসি নজরুল ইসলাম সরকার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কয়েকটি অভিযোগ তার কাছে এসেছে। অভিযোগের সত্যতা পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এটি। এই প্রকল্পে নয়-ছয় করলেই কঠিন ব্যবস্থা।
জেলার চারটি উপজেলাতে নির্মাণাধীন ঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পিএমও পরিচালক শাহিন ইমরান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় সরকারি খাস জমি নির্বাচন করা হয়। এরই মধ্যে এসব ঘরের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ের দিকে। নির্মাণকাজ পর্যবেক্ষণ করছেন ডিসি ও স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসন। প্রথম ধাপে চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার ১৩৪ টি পরিবার পাবে এসব ঘর। আগামী ১৫ জানুয়ারি এসব ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রথম ধাপে সদর উপজেলায় ৩৪টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৫০টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩২টি ও জীবননগর উপজেলায় ১৮টি পাঁকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জেলার যেসব স্থানে সরকারের খাস জমি রয়েছে সেসব স্থানে এসব বসতঘর তৈরি করা হচ্ছে। যার মধ্যে দু’টি শয়ন কক্ষ ও একটি করে বারান্দা, বাথরুম, রান্নাঘর ও স্টোররুম রয়েছে। দুই শতাংশ জমির ওপর নির্মিতব্য প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে চার হাজার টাকা করে। এ প্রকল্পে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ভূমিহীন ব্যক্তিদের উপকারভোগী হিসেবে বাছাই করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার ডিসি নজরুল ইসলাম সরকার জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলার ৯৯৭ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে এসব ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে চারটি উপজেলার ১৩৪ জন পরিবারকে আগামী ১৫ জানুয়ারি এসব ঘর বুঝিয়ে দেয়া হবে।