জেলা প্রতিনিধি:আকাশ থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। বাড়ছে শীত। এছাড়া শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই অবস্থা আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে। ফলে সূর্যের পর্যাপ্ত আলো আসছে না। শীতের আমেজ বাড়ছে।
চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে আজ। গতকাল শনিবার দেশের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি ও রাঙ্গামাটিতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে গতকাল চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গতকাল রাতে চুয়াডাঙ্গায় প্রচুর কুয়াশা ছিলো। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কুয়াশা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত যেমন কুয়াশা ও মেঘাচ্ছন্ন ছিলো, তেমনি আজ রোববারও দুপুর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে।
তাই রোদ-ঝলমল আকাশ দেখতে যারা অস্থির, তাদের জন্য এটি ভারি দুঃসংবাদই বলা চলে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের তীব্রতা মূলত তিনটি প্যারামিটারের ওপর নির্ভর করে। প্রথমত বেশি পরিমাণ কুয়াশা থাকলে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কাছাকাছি থাকে। দিনে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। উপরের ঠাণ্ডা বায়ুর (জেড বায়ু) প্রকোপ বাড়লে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে বৃষ্টিপাত হলেও শীত বাড়ে। গত কয়েকদিনের আবহাওয়ায় এই তিন প্যারামিটারের সংযোগ হওয়ায় শীতের অনুভূতি বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাঙ্গামাটি, শ্রীমঙ্গল ও পঞ্চগড়-এই তিন অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নদী অববাহিকায় ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে ৩০০ মিটার বা কোথাও কোথাও আরও কম হতে পারে। তবে নদীবন্দরগুলোতে কোনো সতর্ক সংকেত দেখাতে হবে না।