জেলা প্রতিনিধি:চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় স্বামীর চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে পড়ে উম্মে সালমা খাতুন (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৭টার দিকে পৌর এলাকার নতুন জেলখানার অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহত উম্মে সালমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।
সেখানে রাত পৌনে আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত উম্মে সালমা খাতুন মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের দর্শনা শাখার বিলিং সুপারভাইজার হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন। মরহুমার স্বামী আলতাফ হোসেনও মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরি করেন। তারা নাটোরের বাসিন্দা হলেও চাকরির কারণে দীর্ঘদিন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাতে একটি মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা শহরের অভিমুখে আসছিলেন উম্মে সালমা খাতুন। এসময় নতুন জেলখানার নিকট পৌঁছালে গতিরোধক (স্পিড-ব্রেকার) পার হবার পরেই অসাবধানতায় পিছন থেকে পড়ে যান উম্মে সালমা খাতুন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত উম্মে সালমার স্বামী আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের দর্শনা শাখায় কর্মরত। প্রতিদিনের ন্যায় অফিস শেষে দুজন মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় নতুন জেলখানার নিকট পৌঁছালে সামনে থাকা স্পিড ব্রেকারের ঝাকুনিতে আমার স্ত্রী মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আমার স্ত্রীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত পৌনে আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উম্মে সালমা খাতুনের মৃত্যু হয়।’
এদিকে উম্মে সালমা খাতুনের মৃত্যুর খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসলাতালে ছুটে আসেন মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের ডিজিএম কাজী মোছা. আয়শা সিদ্দিকা সরকার, জেনারেল ম্যানেজার নূর মোহাম্মদ, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ওঅ্যান্ডএম) রবিউল আলম, জিএস আমানুল্লাহ আমানসহ সহকর্মীরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিল আরসালান বলেন, মাথায় আঘাতের কারণে উম্মে সালমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, শহরের নতুন জেলখানার অদূরে স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে উম্মে সালমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ সুরতাহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের ওপর নির্ভর করছে ময়নাতদন্ত হবে কি না। আবেদন করলে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় উম্মে সালমা খাতুনের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।