ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২

ছেলের কষ্ট দেখে মৃত্যু কামনা করছেন হতভাগা মা

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৬৫ বার পড়া হয়েছে

শরিফুল ইসলাম ও নাছরিন বেগম দম্পতির শিশুসন্তান নীরব। তাকে বেঁধে রাখার দৃশ্য দেখে যে কারো মনে হবে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। এর পেছনে রয়েছে আট বছরের কষ্টের গল্প।

নীরব যেন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে এজন্য সবসময় তাকে বেঁধে রাখা হয়। গত কয়েক বছর ধরে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউপির পূর্ব কাতলামারী গ্রামে এ দৃশ্য চোখে পড়েছে মানুষের। তাই এভাবেই বন্দি জীবন কাটছে তার। বিনা চিকিৎসায় ঝরে যাচ্ছে শিশু নীরবের প্রাণ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশি মানুষ দেখলেই নীরবে চোখে-মুখে হিংস্রতা দেখা দেয়। কখনো কামড় দিতে আসে আবার কখনো মাথা দিয়ে আঘাত করতে আসে। সুযোগ পেলেই প্রতিবেশীর ক্ষতি করে। পরিবারের পক্ষ থেকে নীরবের চিকিৎসায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করা হলেও মেলেনি সুস্থতা। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে এখন ছেলের মৃত্যু কামনা করছেন মা নাছরিন বেগম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউপির পূর্ব কাতলামারী গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে নাছরিন বেগমের সঙ্গে কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মন্ছুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি নানা বাড়ি নীরবের জন্ম হয়। জন্মের দুদিন পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে নীরব। পায়খানার সঙ্গে রক্ত দেখা যায়। প্রথমে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এ অবস্থায় নীরবের বাবা ছেলে ও স্ত্রীকে আর নিজ বাড়িতে নিয়ে যাননি। সেই থেকে নীরব নানার বাড়িতেই থাকে।

পরে এক বছর বয়সেও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না নীরব। অন্য দশটি শিশুর থেকে আলাদা এক বছরের শিশুকে নিয়ে মা নাছরিন বেগম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জানতে পারেন বিভিন্ন সমস্যার কথা। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা শুরু করেন।

এক বছর পর মাটি খুঁড়ে গর্ত করে নীরবকে সারাদিন গর্তে রাখতে শুরু করে পরিবার। যাতে সে হেলে না পড়ে। এভাবে বছর খানেক রাখার পর হাঁটতে শুরু করলেও কথা বলতে পারে না নীরব। ধীরে ধীরে কথা বলতে পারলেও ভালোমন্দ বুঝতে পারে না। যখন যা মন চায় তাই করতে থাকে। শক্ত বস্তুতে নিজের মাথা ঠুকতে থাকে। এভাবে বছর দুই যেতে না যেতেই মানুষের ক্ষতি করা শুরু করে। তখন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখতে শুরু করে পরিবারের লোকজন। কিন্তু গাছের সঙ্গে এক হাত বা এক পা বেঁধে রাখলে নিজের মাথা গাছের সঙ্গে ঠুকতে থাকে সে। তাই দুই হাত টানা দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়।

ঘুমের ওষুধ ছাড়া কখনো রাতে ঘুমায় না নীরব। প্রতিদিন বিকেলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর রাতে বিছানায় দুই হাত ও দুই পা বেঁধে রাখা হয়। কারণ ঘুম থেকে উঠে সে যেন কারো ওপর আঘাত করতে না পারে।

শিশু নীরবের মা নাছরিন বেগম বলেন, একজন মা কখনো সন্তানের মৃত্যু কামনা করে না। আমি মা হয়ে সন্তানের মৃত্যু কামনা করি। কারণ ছেলেকে সুস্থ করার জন্য অনেক কষ্ট করেছি। খেয়ে না খেয়ে চিকিৎসা চালিয়েছি। এখন আর চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। সংসার চলে না। অভাবের কারণে কখনো কখনো ঠিক মতো পেটে খাবার জোটে না। কীভাবে ছেলের চিকিৎসা খরচ চালাব। ১০ বছর বয়সেও সে বিছানায় পায়খানা-প্রস্রাব করে। আল্লাহর কাছে বলি, হয় আমার মরণ দাও, না হয় ছেলের মরণ দাও। ছেলের কষ্ট আর সহ্য হয় না।

নীরবের নানা নজরুল ইসলাম বলেন, নীরবকে প্রতিদিন সকালে দুই হাত দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রাখতে হয়। কারণ সে যেন গাছের সঙ্গে মাথা ঠুকতে না পারে। এর আগে অনেক বার গাছের সঙ্গে মাথা আঘাত করার তার মাথা ফেটে রক্ত বের হয়েছে। বেঁধে না রাখলে তার সমবয়সী শিশুদের মাথা দিয়ে আঘাত করে সে। অনেক সময় মাথা ব্যথার কারণে সে নিজের মাথায় ইট, পাথর অথবা গাছের সঙ্গে আঘাত করে। আমরা এখন কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।

নীরবের নানি সুফিয়া বেগম বলেন, আমাদের সহায়সম্বল যা ছিল সব বিক্রি করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে নীরবের চিকিৎসা করেছি। এখন কীভাবে চিকিৎসা করাবো জানি না। বিনা চিকিৎসায় শিশুটি মারা যেতে পারে অথবা এই শিশুর হাতে কেউ মরতে পারে। তাকে নিয়ে আমরা সবসময় টেনশনে থাকি।

স্থানীয় বাসিন্দা ছালমা বেগম বলেন, অনেক কষ্ট লাগে যখন দেখি শিশু নীরব চিৎকার করে বলছে, আমাকে ছেড়ে দাও খেলতে যাব। প্রতিদিন বেঁধে রাখতে হয় নীরবকে। কারণ সে ভালোমন্দ বোঝে না। কখন কী করতে হয়, কীভাবে খেলাধুলা করতে হয় তাও জানে না। আমাদের দেশে অনেক বিত্তবান লোক আছে। তারা কেউ নীরবের পাশে দাঁড়ালে হয়তো তার জীবন আশার আলো দেখতো।

ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউপির সদস্য সোলায়মান আলী জানান, ইউপি থেকে নীরবের জন্য তেমন কিছু করার নেই। তবু আমরা চেষ্টা করবো সহায়তা করার। সরকার বা বিভিন্ন সংস্থা যদি নীরবের পাশে দাঁড়াতো তাহলে শিশুটি প্রাণ ফিরে পেতো। তাকে আর ধুঁকে ধুঁকে মরতে হতো না।

গাইবান্ধা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. এমদাদুল হক প্রামাণিক বলেন, জেলায় অনেক প্রতিবন্ধী আছে। যারা অন্যদের থেকে আলাদা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

ট্যাগস :

ছেলের কষ্ট দেখে মৃত্যু কামনা করছেন হতভাগা মা

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০

শরিফুল ইসলাম ও নাছরিন বেগম দম্পতির শিশুসন্তান নীরব। তাকে বেঁধে রাখার দৃশ্য দেখে যে কারো মনে হবে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। এর পেছনে রয়েছে আট বছরের কষ্টের গল্প।

নীরব যেন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে এজন্য সবসময় তাকে বেঁধে রাখা হয়। গত কয়েক বছর ধরে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউপির পূর্ব কাতলামারী গ্রামে এ দৃশ্য চোখে পড়েছে মানুষের। তাই এভাবেই বন্দি জীবন কাটছে তার। বিনা চিকিৎসায় ঝরে যাচ্ছে শিশু নীরবের প্রাণ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশি মানুষ দেখলেই নীরবে চোখে-মুখে হিংস্রতা দেখা দেয়। কখনো কামড় দিতে আসে আবার কখনো মাথা দিয়ে আঘাত করতে আসে। সুযোগ পেলেই প্রতিবেশীর ক্ষতি করে। পরিবারের পক্ষ থেকে নীরবের চিকিৎসায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করা হলেও মেলেনি সুস্থতা। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে এখন ছেলের মৃত্যু কামনা করছেন মা নাছরিন বেগম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউপির পূর্ব কাতলামারী গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে নাছরিন বেগমের সঙ্গে কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মন্ছুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি নানা বাড়ি নীরবের জন্ম হয়। জন্মের দুদিন পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে নীরব। পায়খানার সঙ্গে রক্ত দেখা যায়। প্রথমে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এ অবস্থায় নীরবের বাবা ছেলে ও স্ত্রীকে আর নিজ বাড়িতে নিয়ে যাননি। সেই থেকে নীরব নানার বাড়িতেই থাকে।

পরে এক বছর বয়সেও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না নীরব। অন্য দশটি শিশুর থেকে আলাদা এক বছরের শিশুকে নিয়ে মা নাছরিন বেগম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জানতে পারেন বিভিন্ন সমস্যার কথা। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা শুরু করেন।

এক বছর পর মাটি খুঁড়ে গর্ত করে নীরবকে সারাদিন গর্তে রাখতে শুরু করে পরিবার। যাতে সে হেলে না পড়ে। এভাবে বছর খানেক রাখার পর হাঁটতে শুরু করলেও কথা বলতে পারে না নীরব। ধীরে ধীরে কথা বলতে পারলেও ভালোমন্দ বুঝতে পারে না। যখন যা মন চায় তাই করতে থাকে। শক্ত বস্তুতে নিজের মাথা ঠুকতে থাকে। এভাবে বছর দুই যেতে না যেতেই মানুষের ক্ষতি করা শুরু করে। তখন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখতে শুরু করে পরিবারের লোকজন। কিন্তু গাছের সঙ্গে এক হাত বা এক পা বেঁধে রাখলে নিজের মাথা গাছের সঙ্গে ঠুকতে থাকে সে। তাই দুই হাত টানা দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়।

ঘুমের ওষুধ ছাড়া কখনো রাতে ঘুমায় না নীরব। প্রতিদিন বিকেলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর রাতে বিছানায় দুই হাত ও দুই পা বেঁধে রাখা হয়। কারণ ঘুম থেকে উঠে সে যেন কারো ওপর আঘাত করতে না পারে।

শিশু নীরবের মা নাছরিন বেগম বলেন, একজন মা কখনো সন্তানের মৃত্যু কামনা করে না। আমি মা হয়ে সন্তানের মৃত্যু কামনা করি। কারণ ছেলেকে সুস্থ করার জন্য অনেক কষ্ট করেছি। খেয়ে না খেয়ে চিকিৎসা চালিয়েছি। এখন আর চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। সংসার চলে না। অভাবের কারণে কখনো কখনো ঠিক মতো পেটে খাবার জোটে না। কীভাবে ছেলের চিকিৎসা খরচ চালাব। ১০ বছর বয়সেও সে বিছানায় পায়খানা-প্রস্রাব করে। আল্লাহর কাছে বলি, হয় আমার মরণ দাও, না হয় ছেলের মরণ দাও। ছেলের কষ্ট আর সহ্য হয় না।

নীরবের নানা নজরুল ইসলাম বলেন, নীরবকে প্রতিদিন সকালে দুই হাত দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রাখতে হয়। কারণ সে যেন গাছের সঙ্গে মাথা ঠুকতে না পারে। এর আগে অনেক বার গাছের সঙ্গে মাথা আঘাত করার তার মাথা ফেটে রক্ত বের হয়েছে। বেঁধে না রাখলে তার সমবয়সী শিশুদের মাথা দিয়ে আঘাত করে সে। অনেক সময় মাথা ব্যথার কারণে সে নিজের মাথায় ইট, পাথর অথবা গাছের সঙ্গে আঘাত করে। আমরা এখন কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।

নীরবের নানি সুফিয়া বেগম বলেন, আমাদের সহায়সম্বল যা ছিল সব বিক্রি করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে নীরবের চিকিৎসা করেছি। এখন কীভাবে চিকিৎসা করাবো জানি না। বিনা চিকিৎসায় শিশুটি মারা যেতে পারে অথবা এই শিশুর হাতে কেউ মরতে পারে। তাকে নিয়ে আমরা সবসময় টেনশনে থাকি।

স্থানীয় বাসিন্দা ছালমা বেগম বলেন, অনেক কষ্ট লাগে যখন দেখি শিশু নীরব চিৎকার করে বলছে, আমাকে ছেড়ে দাও খেলতে যাব। প্রতিদিন বেঁধে রাখতে হয় নীরবকে। কারণ সে ভালোমন্দ বোঝে না। কখন কী করতে হয়, কীভাবে খেলাধুলা করতে হয় তাও জানে না। আমাদের দেশে অনেক বিত্তবান লোক আছে। তারা কেউ নীরবের পাশে দাঁড়ালে হয়তো তার জীবন আশার আলো দেখতো।

ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউপির সদস্য সোলায়মান আলী জানান, ইউপি থেকে নীরবের জন্য তেমন কিছু করার নেই। তবু আমরা চেষ্টা করবো সহায়তা করার। সরকার বা বিভিন্ন সংস্থা যদি নীরবের পাশে দাঁড়াতো তাহলে শিশুটি প্রাণ ফিরে পেতো। তাকে আর ধুঁকে ধুঁকে মরতে হতো না।

গাইবান্ধা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. এমদাদুল হক প্রামাণিক বলেন, জেলায় অনেক প্রতিবন্ধী আছে। যারা অন্যদের থেকে আলাদা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।