নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১৪ বছর বয়সী মাদরাসাছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণ করেছে ওই ছাত্রীর প্রেমিকের বড় ভাই ও ফুফাতো ভাই। গত শনিবার রাতে ওই উপজলার ব্রাহ্মন্দী সরকারি হাসপাতালের পেছনের জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা তিনজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে আড়াইহাজার থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেফতার করে শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠিয়েছে।
আসামিরা হলেন- একই উপজেলার ব্রাহ্মন্দী মধ্যপাড়ার মোতালিবের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৫), তার বড় ভাই বাদল (৩৭) ও ফুফাতো ভাই একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মুসা।
ইমোতে প্রেম তারপর বিয়ে, স্ত্রীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। মাদরাসার হোস্টেলেই থাকতো সে। হঠাৎ হোস্টেলের পানির ট্যাংকে সমস্যা হলে সে গত শনিবার গোসল করতে বাড়িতে যায়। পরে আবার মাদরাসায় যাওয়ার জন্য বের হয়। ওইদিন তিনি সন্ধ্যায় মাদরাসায় গিয়ে মেয়ের খোঁজ করলে দারোয়ান জানায়- তার মেয়ে মাদরাসায় ফেরেনি। তার মোবাইলও পাওয়া যাচ্ছিল না। মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হয় কিন্তু কেউ রিসিভ করে না। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও মেয়ের সন্ধ্যান পাননি তিনি।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে পার্শ্ববর্তী প্রভাকরদী এলাকা থেকে এক ব্যক্তি ফোন করে তার মেয়ের খোঁজ দেয়। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রী জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় প্রেমিক নজরুল ইসলাম তাকে মোবাইলে ব্রাহ্মন্দী সরকারি হাসপাতালের পেছনে রবিন্দ্র বাবুর পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে নজরুল। তার বড় ভাই বাদল ও ফুফাতো ভাই মুসা ওই ঘটনা দেখতে পায়। এরপর নজরুলকে শাসিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয় তারা। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার আশ্বাসে একই স্থানে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ওই ছাত্রী আরো জানান, লোকলজ্জায় এতদিন পালিয়ে ছিলেন তিনি।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা মামলা করেছেন। ওই ছাত্রীর প্রেমিক ও তার দুই ভাইকেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।