DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশুক্রবার ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকাশুক্রবার ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

জুমার দিনটি হচ্ছে মুমিন মুসলমানদের জন্য অধিক ফজিলতপূর্ণ

News Editor
অক্টোবর ২৪, ২০২০ ১১:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জুমার দিন বা শুক্রবারের দিনটি হচ্ছে মুমিন মুসলমানদের জন্য অধিক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ। শুধু দুনিয়াতেই নয় বরং পরকালেও; অর্থাৎ দো’জাহানের জন্যই এ দিনটি অনেক অনেক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ।তো চলুন আজ আমরা জুমার দিনে জান্নাতের বাজার সম্পর্কে সংক্ষিপ্তাকারে জানার চেষ্টা করি।

জুমার দিনে জান্নাতের বাজার হবে যেমন-

জান্নাতের বাজার পৃথিবীর বাজারের মতো নয়। জান্নাতের বাজারের নিয়ম-নীতি পৃথিবীর বাজারগুলোর চেয়ে ভিন্ন। সেখানের কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড থাকবে না। সেখানে ক্রয়-বিক্রয় থাকবে না।

 আল্লাহর পক্ষ থেকে শুধু বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য বিশেষ তোহফা 

আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, জান্নাতে একটি বাজার থাকবে। প্রত্যেক জুমায় জান্নাতি লোকেরা তাতে একত্রিত হবেন। তারপর উত্তরদিকের মৃদুবায়ু প্রবাহিত হয়ে সেখানকার ধূলা-বালি তাদের মুখমণ্ডল ও পোশাক-পরিচ্ছদে গিয়ে লাগবে। এতে তাদের সৌন্দর্য এবং শরীরের রং আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

তারপর তারা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে আসবে। এসে দেখবে, পরিবারের লোকদের শরীরের রং এবং সৌন্দর্যও বহুগুণ বেড়ে গেছে। পরিবারের লোকেরা তাদের বলবে, আল্লাহর শপথ! আমাদের কাছ থেকে যাবার পর তোমাদের সৌন্দর্য বেড়ে গেছে। উত্তরে তারাও বলবে, আল্লাহর শপথ! তোমাদের শরীরের সৌন্দর্যও তোমাদের নিকট থেকে আমরা যাবার পর বহুগুণে বেড়ে গেছে। (মুসলিম, হাদিস নম্বর: ২৮৩৩, ১৮৮৯)

আলী (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, জান্নাতে একটি বাজার রয়েছে। সেখানে যখনই কোনো ব্যক্তির যে ধরনের মুখাবয়ব (ও প্রতিকৃতি) ধারণ করতে চাইবে তৎক্ষণাৎ সে সেই আকৃতি ধারণ করতে পারবে। (মিশকাত, হাদিস নং: ৫৬৪৬, ১৯৮২; তিরমিজি, হাদিস নম্বর: ২৫৫০)

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি একদিন আবু হুরায়রা (রা.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন তিনি আমাকে এবং তোমাকে জান্নাতের বাজারে একত্রিত করেন।

আরো পড়ুন :  প্রমাণের আগে অপরাধী সাব্যস্ত করা নিয়ে কোরআন-হাদিসে যা আছে

সাঈদ ইবুনল মুসাইয়াব তখন বললেন, জান্নাতে কি বাজারও থাকবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ! রাসূল (সা.) আমাকে জানিয়েছেন যে, জান্নাতিরা জান্নাতে প্রবেশ করার পর নিজ নিজ আমলের আধিক্য অনুসারে যথাযোগ্য বাসস্থান গ্রহণ করবে। পরে দুনিয়ার দিন হিসেবে প্রতি জুমাবার তারা তাদের মালিকের (আল্লাহ তায়ালা) সাক্ষাতে আসবে। তাদের জন্য তার আরশ প্রকাশ করা হবে।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আমাদের প্রতিপালকের দর্শন পাব? তিনি বললেন, হ্যাঁ! সূর্য বা পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে কি তোমাদের কোনো অসুবিধা হয়? আমরা বললাম, না।

তিনি বললেন, তেমনিভাবে তোমাদের প্রতিপালকের সাক্ষাতেও কোনো অসুবিধা থাকবে না। ওই মজলিসে এমন কোনো ব্যক্তি অবশিষ্ট থাকবে না, যার সঙ্গে আল্লাহ তায়ালার কথোপকথন না হবে।

সেখান থেকে জান্নাতিরা জান্নাতের বাজারে আসবে। ফেরেশতারা তা ঘিরে রাখবেন। তাতে এমন সব জিনিস থাকবে, যা কোনো চোখ কখনো দেখেনি, কোনো কান কোনো দিন শোনেনি, কোনো হৃদয়ে তা কল্পনাও হয়নি। সেখানে কিছুর কেনাবেচা হবে না। এই বাজারেই জান্নাতিদের পরস্পর সাক্ষাৎ হবে।

জান্নাতিরা নিজ নিজ আবাসে ফিরে আসার পর স্ত্রীরা এসে অভ্যর্থনা জানাবে। বলবে, স্বাগতম ও শুভেচ্ছা! আমাদের নিকট থেকে যখন গিয়েছিলেন, তখনকার তুলনায় এখন আপনারা আরো বেশি সুন্দর হয়ে ফিরে এসেছেন। তখন জান্নাতি পুরুষরা বলবে, আমরা তো আজ মহাপরাক্রমশালী আমাদের প্রভুর মজলিসে বসে এসেছি। (হাদিসটির অনুবাদ সংক্ষেপে এবং বর্ণনাভঙ্গি বদল করা হয়েছে।) (তিরমিজি, হাদিস নম্বর: ২৫৪৯; ইবনু মাজাহ, হাদিস নম্বর: ৪৩৩৬)

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:১৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:২২
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১২
  • ১২:০২
  • ৩:৪২
  • ৫:২২
  • ৬:৪১
  • ৬:৩৮