ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo এনআইডি কার্ড ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ বন্ধ : ডিসি সারোয়ার Logo আমরা যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর চালু করব : বিমান উপদেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা; ঐক্য ও সৌহার্দ্যের নতুন বন্ধন Logo রংপুরে শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে Logo দেশে মাদ্রাসা বোর্ড পাশে এগিয়ে যদিও বৈরাটি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীই ফেল Logo রাজাপুর-কাঁঠালিয়া উন্নয়ন ফোরামের কমিটি গঠন সভাপতি আবু ইউসুফ সেক্রেটারি জসীম উদ্দীন Logo পানছড়ির উল্টাছড়িতে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন Logo শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা যাচাইয়ের আহ্বান উপ-প্রেস সচিবের Logo চট্টগ্রামের কারখানার ভয়াবহ আগুন ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে! Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা

ঝালকাঠির মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ ভেঙ্গে যাচ্ছে

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১০৩১ বার পড়া হয়েছে

আমির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি : ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেশাইনখান বধ্যভ, মিতে স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত স্মৃতি সৌধের ফলকটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। বেশাইনখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতন সংলগ্ন খালের পাড়ে বধ্যভুমি স্থানে বেসরকারি উদ্যোগে ২০১০ সালর ২১ জুন স্মৃতি ফলকটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের মাতা হাফিজা বেগম ৩০ জন শহীদের নামে নির্মিত ফলকটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেছিলেন। নির্মন কাজে দ্বায়িত ছিলেন স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আনছার উদ্দিন হাওলাদার।

তিনি জানান তৎকালীন সময় স্কুলের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান হিরু নিজস্ব অর্থায়নে ও স্কুলের স্থায়ী দাতা সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম ও জি এম আজাদ পল্টুর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৪ʼলক্ষ টাকা ব্যায় করে শহীদ নামে দৃষ্টি নন্দন এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন।

বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে বেসরকারি উদ্যোগে এটাই বধ্যভুমীতে প্রথম স্মৃতি ফলক নির্মাণ। নির্মাণাধিন স্মৃতিফলকের পাশ দিয়ে ত্রিমুখী খালে তীব্র স্রোতের কারণে মাটি সড়ে গিয়ে স্মৃতি ফলকটি ভেঙ্গে পরার উপক্রম হয়েছে। এবং কয়েকটি স্থানে ইতো মধ্যে ফাটল ধরে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলে এসেছে।

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্মৃতি ফলকটি রক্ষা করার জন্য সরকারের কাছে দাবী করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে ২১ জুন পাক হানাদার বাহিনী বেশাইখান গ্রামসহ আসে পাশের গ্রাম জুড়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ধরার জন্য চার দিক থেকে ঘেরাও করে সাড়াশী অভিযান চালায়।

অভিযানে এ এলাকার ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর হাতে আটক হয়। এদেরকে এই খালপাড়ে এনে প্রথমে শারীরিক নির্যাতন চালান হয় এবং পরে তাদেরকে খালের পাড়ে দাড় করিয়ে গুলি করে হত্যার পর ফেলে রাখা হয়। স্রোতের কারণে অনেক লাশ ভেসে যায় এবং পাকবাহিনী চলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন মৃতদেহ তুলে তাদের স্বজনদের কাছে দেয়।

তবে, অনেকেরই মৃত দেহ তখন পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে স্কুলের স্থায়ী দাতা ও ফজলুর রহমান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম জানান,স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ১৯৭২ সালে বেশাইখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্মৃতি বিজড়িত এই স্থান ঐতিহ্য ধরে রাখতে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। সরকারের সুদৃষ্টি আমরা কামনা করছি।
[irp]

ঝালকাঠির মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ ভেঙ্গে যাচ্ছে

আপডেট সময় : ০২:১৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

আমির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি : ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেশাইনখান বধ্যভ, মিতে স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত স্মৃতি সৌধের ফলকটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। বেশাইনখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতন সংলগ্ন খালের পাড়ে বধ্যভুমি স্থানে বেসরকারি উদ্যোগে ২০১০ সালর ২১ জুন স্মৃতি ফলকটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের মাতা হাফিজা বেগম ৩০ জন শহীদের নামে নির্মিত ফলকটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেছিলেন। নির্মন কাজে দ্বায়িত ছিলেন স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আনছার উদ্দিন হাওলাদার।

তিনি জানান তৎকালীন সময় স্কুলের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান হিরু নিজস্ব অর্থায়নে ও স্কুলের স্থায়ী দাতা সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম ও জি এম আজাদ পল্টুর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৪ʼলক্ষ টাকা ব্যায় করে শহীদ নামে দৃষ্টি নন্দন এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন।

বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে বেসরকারি উদ্যোগে এটাই বধ্যভুমীতে প্রথম স্মৃতি ফলক নির্মাণ। নির্মাণাধিন স্মৃতিফলকের পাশ দিয়ে ত্রিমুখী খালে তীব্র স্রোতের কারণে মাটি সড়ে গিয়ে স্মৃতি ফলকটি ভেঙ্গে পরার উপক্রম হয়েছে। এবং কয়েকটি স্থানে ইতো মধ্যে ফাটল ধরে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলে এসেছে।

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্মৃতি ফলকটি রক্ষা করার জন্য সরকারের কাছে দাবী করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে ২১ জুন পাক হানাদার বাহিনী বেশাইখান গ্রামসহ আসে পাশের গ্রাম জুড়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ধরার জন্য চার দিক থেকে ঘেরাও করে সাড়াশী অভিযান চালায়।

অভিযানে এ এলাকার ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর হাতে আটক হয়। এদেরকে এই খালপাড়ে এনে প্রথমে শারীরিক নির্যাতন চালান হয় এবং পরে তাদেরকে খালের পাড়ে দাড় করিয়ে গুলি করে হত্যার পর ফেলে রাখা হয়। স্রোতের কারণে অনেক লাশ ভেসে যায় এবং পাকবাহিনী চলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন মৃতদেহ তুলে তাদের স্বজনদের কাছে দেয়।

তবে, অনেকেরই মৃত দেহ তখন পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে স্কুলের স্থায়ী দাতা ও ফজলুর রহমান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম জানান,স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ১৯৭২ সালে বেশাইখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্মৃতি বিজড়িত এই স্থান ঐতিহ্য ধরে রাখতে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। সরকারের সুদৃষ্টি আমরা কামনা করছি।
[irp]