টাঙ্গাইলে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
- আপডেট সময় : ১২:৩২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩৯০৪ বার পড়া হয়েছে
টাঙ্গাইলে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের বাসাইলে একইস্থানে মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র সমাবেশকে কেন্দ্র করে সমাবেশ স্থলের ৫শ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ আকলিমা বেগম এ আদেশ জারি করেন।
জানাযায়, রোববার বিকেল ৩টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে একই সময়ে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে এই সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
আরও জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল লিখিতভাবে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।
এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের।
এদিকে, ছাত্র সমাজের ব্যানারে একইস্থানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ৫ সেপ্টেম্বর লিখিত আবেদন করেন ছাত্র নেতৃবৃন্দের পক্ষে রনি মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তবে রনি মিয়ার মোবাইল নম্বর ও পুরো ঠিকানা আবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। সমাবেশে অতিথি হিসেবে কে থাকবেন বিষয়টি আবেদনে বলা হয়নি।
ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দদের পক্ষে আবেদনকারী রনি মিয়া বলেন, সারা দেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুর্নবাসন করার চেষ্টা চলছে। যাতে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুর্নবাসন করতে না পারে এজন্য আমরা ছাত্র সমাজ সমাবেশের ডাক দিয়েছি। আমাদের সমাবেশ খুবই শান্তিপূর্ণভাবে হবে। যত বাধা-বিপত্তি আসুক আমরা নির্ধারিত স্থানেই সমাবেশ করবো। অনুষ্ঠানে ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন।
যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল বলেন, অনুমতি চেয়ে আমরা আগে আবেদন করেছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান বানচালের জন্য তারা একইস্থানে সমাবেশ ডেকেছে। তারা আমাদের অনুষ্ঠানের আগে বা পরদিন সমাবেশ করতে পারতেন। তাদের সঙ্গে তো আমাদের কোনো প্রতিহিংসা নেই। ইতোমধ্যে আমরা অতিথিদের দাওয়াত দিয়েছি।
বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, একই জায়গায় দুটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল টিম থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ আকলিমা বেগম স্বাক্ষরিত আদেশে জানানো হয়, রেববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বাসাইল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে একই সময় ও স্থানে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এবং ছাত্র সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি চাওয়া হয়। এ অবস্থায় উভয় সমাবেশ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রোববার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বাসাইল শহীদ মিনারের ৫শ গজ এলাকায় সব প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, স্লোগান, পিকেটিং, মাইক্রোফোন ব্যবহার, ঢাকঢোল পিটানো, গোলযোগ সৃষ্টি, লাঠিসোঁটা ও অস্ত্রশস্ত্র বহন এবং অবৈধ প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বপালন এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।