স্টাফ রিপোর্টারঃ টেকনাফের বাহারছড়া উত্তর শিলখালী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হত্যা চেষ্টার দুধর্ষ সন্ত্রাসী, নারী ধর্ষণ, হত্যা, হত্যা চেষ্টা ও মারামারিসহ অর্ধডজন বিভিন্ন মামলার পরোয়ানা ও নিয়মিত মামলার একজন ফেরারি আসামিকে গ্রেফতার করেছে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার( ৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩.০০টায় উত্তর শিলখালী মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন পশ্চিমের ঝাউবন থেকে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নুর মোহাম্মদের নির্দেশনায় তদন্ত কেন্দ্রের চৌকস উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক জামাল মীরের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় উত্তর শিলখালী মৃত মকবুল আলীর পুত্র আতা উল্লাহ(৪৫)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সেই গত কয়েক বছর ধরে প্রশাসনের চোখে ধুলা দিয়ে পরোয়ানাভুক্ত মার্ডার মামলার একক আসামি হিসেবে লাপাত্তা ছিলেন। এএসআই জামাল মীর দীর্ঘদিন ধরে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন বলে জানান।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে,গত কয়েকদিন আগে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বাঁধা দেয়ায় উত্তর শিলখালী এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মৃত সোলাইমানের পুত্র হেলাল উদ্দীন’র হাতের একটা আঙুল কেটে নেয় এবং একটা হাত ভেঙে ফেলে এছড়াও তার নেতৃত্বে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে দা’র আঘাতে রক্তাত্ত করা হয়।এছড়াও সরকারি লাইসেন্সকৃত বন্দুক ছিনতাই,গরু চুরিসহ অহরহ অভিযোগ রয়েছে।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নুর মোহাম্মদ জানান,” আটককৃত আতা উল্লাহ’র বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা,হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।দীর্ঘদিন গ্রেফতার পরোয়ানা নিয়ে পলাতক ছিল। তাকে দীর্ঘদিনের প্রয়াসের পর অবশেষে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরোয়ানাভুক্ত মামলা নিয়ে টেকনাফ মডেলথানা হয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে”।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান,তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।