ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল

ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ের প্রলোভনে অন্যের স্ত্রীকে ধর্ষণ

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
  • / ১০৭০ বার পড়া হয়েছে
মোঃ ফরিদ হোসাইন মাসুম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখান পুকুরী ইউনিয়নের মন্ডল পাড়ার ইসমাইলের ছেলে আল আমিনের সাথে বাংরোডের মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে খালেদা আক্তারের সখ্যতা গড়ে ওঠে ৭-৮ বছর আগে।কিন্তু আল আমিন ওরফে সেলিমের পরিবার মেনে না নেওয়ায় তাদের বিয়ে হয়নি।অবশেষে বছর চারেক আগে খালেদার বিয়ে হয় দিনাজপুর মুরারী পাড়ার দুলালের ছেলে ফয়জুলের সাথে।তারা ঢাকায় বসবাস করতে থাকে।
এসময় তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়।বর্তমানে যার বয়স আড়াই বছর।বিয়ের পর থেকেই সেলিম খালেদাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে।এমনকি সেলিম ফয়জুলকে খালেদার নামে নোংরা কথা বলে।এতে ফয়জুল আর খালেদার সম্পর্কে ফাটল ধরে। ফয়জুল খালেদাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেলিম খালেদাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।খালেদা বিয়ের চাপ দিলে সেলিম তাকে বিয়ে করবে বলে কাগজপত্র নিয়ে ঠাকুরগাঁও বড় মাঠে আসতে বলে।
১লা মার্চ(সোমবার) খালেদা কাগজপত্র নিয়ে বড় মাঠে আসে।কিন্তু সেলিম তাল-বাহানা করে বলে সে কাগজ নিয়ে আসেনি,আজ বিয়ে হবেনা।৪মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে খালেদা সেলিমকে মুঠোফোনে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞেসা করে কেন সে এমন করছে।এতে করে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।এসময় সেলিমের আত্নীয় সুমন,সোহাগ,মোস্তফা,আকাশীসহ ৭/৮ জন খালেদাকে মারধর করে সেলিমকে নিয়ে চলে যায়।
খালেদা স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় সেলিমের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করে।এতেও সেলিম ক্ষান্ত হয়নি।এখন সে প্রতিদিনই খালেদা আর তার পরিবারের ব্যাপক ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করছে। সরেজমিনে গিয়ে খালেদা আক্তারের সাথে কথা বললে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন,আমার এই কুল ওই কুল সবি গেলো।
আমি আপনাদের মাধ্যমে বিচার চাই।আমার টাকা পয়সা চাইনা শুধু সেলিমের বিচার চাই।আমি আমার এই ছোট্ট শিশু মেয়েকে নিয়ে কোথায় দাঁড়াবো। এব্যাপার মামলার আই,ও ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি আমার নলেজে এসেছে।আমি গতকাল ও আসামী ধরতে গিয়েছিলাম। বর্তমানে তারা পলাতক।
তারপরও আমরা আসামী ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।

ট্যাগস :

ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ের প্রলোভনে অন্যের স্ত্রীকে ধর্ষণ

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
মোঃ ফরিদ হোসাইন মাসুম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখান পুকুরী ইউনিয়নের মন্ডল পাড়ার ইসমাইলের ছেলে আল আমিনের সাথে বাংরোডের মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে খালেদা আক্তারের সখ্যতা গড়ে ওঠে ৭-৮ বছর আগে।কিন্তু আল আমিন ওরফে সেলিমের পরিবার মেনে না নেওয়ায় তাদের বিয়ে হয়নি।অবশেষে বছর চারেক আগে খালেদার বিয়ে হয় দিনাজপুর মুরারী পাড়ার দুলালের ছেলে ফয়জুলের সাথে।তারা ঢাকায় বসবাস করতে থাকে।
এসময় তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়।বর্তমানে যার বয়স আড়াই বছর।বিয়ের পর থেকেই সেলিম খালেদাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে।এমনকি সেলিম ফয়জুলকে খালেদার নামে নোংরা কথা বলে।এতে ফয়জুল আর খালেদার সম্পর্কে ফাটল ধরে। ফয়জুল খালেদাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেলিম খালেদাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।খালেদা বিয়ের চাপ দিলে সেলিম তাকে বিয়ে করবে বলে কাগজপত্র নিয়ে ঠাকুরগাঁও বড় মাঠে আসতে বলে।
১লা মার্চ(সোমবার) খালেদা কাগজপত্র নিয়ে বড় মাঠে আসে।কিন্তু সেলিম তাল-বাহানা করে বলে সে কাগজ নিয়ে আসেনি,আজ বিয়ে হবেনা।৪মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে খালেদা সেলিমকে মুঠোফোনে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞেসা করে কেন সে এমন করছে।এতে করে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।এসময় সেলিমের আত্নীয় সুমন,সোহাগ,মোস্তফা,আকাশীসহ ৭/৮ জন খালেদাকে মারধর করে সেলিমকে নিয়ে চলে যায়।
খালেদা স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় সেলিমের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করে।এতেও সেলিম ক্ষান্ত হয়নি।এখন সে প্রতিদিনই খালেদা আর তার পরিবারের ব্যাপক ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করছে। সরেজমিনে গিয়ে খালেদা আক্তারের সাথে কথা বললে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন,আমার এই কুল ওই কুল সবি গেলো।
আমি আপনাদের মাধ্যমে বিচার চাই।আমার টাকা পয়সা চাইনা শুধু সেলিমের বিচার চাই।আমি আমার এই ছোট্ট শিশু মেয়েকে নিয়ে কোথায় দাঁড়াবো। এব্যাপার মামলার আই,ও ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি আমার নলেজে এসেছে।আমি গতকাল ও আসামী ধরতে গিয়েছিলাম। বর্তমানে তারা পলাতক।
তারপরও আমরা আসামী ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।