মোঃ ফরিদ হোসাইন মাসুম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে এক বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিন ইউপি ভবনের সামনে এক দোকানে বলছিলেন ‘আমি একজন গরীব মানুষ অথচ সরকারি কোনো সাহায্য পাই না। একটা বয়স্ক ভাতার কার্ডও পেলাম না। সরকার তো অনেক কিছুই দিচ্ছে। আর মেম্বারের কাছে গেলে বলেন কিছুই আসেনি কোথায় থেকে দিবো।
এ কথা শুনে ওই ইউনিয়নের এক গ্রাম চৌকিদার মুঠোফোনে ইউপি সদস্য বিশ্বনাথকে এসব কথা বললে মেম্বার এসে বৃদ্ধ ইসলাম উদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে বৃদ্ধ ইসলাম মাটিতে পড়ে গেলে তার ছেলে মোস্তাফা এগিয়ে আসলে চকিদার ও মেম্বারের বাহিনী মান্নান তাকেও মারধর করে।
পরে স্থানীয়রা বৃদ্ধ ইসলাম উদ্দীন ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘বাবার বয়সী ইসলাম উদ্দিন দোকানে বসে নিজের কষ্টের কথা বলছিলেন, এমন সময় মেম্বার বিশ্বনাথসহ তার দলবল এসে তাকে চড় থাপ্পর মারতে শুরু করে। আমরা এগিয়ে আসলে মেম্বারের সাথে থাকা মান্নান আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বলেন যে বাঁচতে চাইলে কেউ আসবি না।
ভুক্তভোগী ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘মুই দোকানত বসে খালী কহিনু মেম্বারটা কি হামাক কিছু দিবেনি। সরকার এতো কিছু দেছে আর মেম্বার টা কহেছে কিছুই নাই। ইলা কথা শুনে চকিদারটা মেম্বারটাক ফোন করে ডাকে সাথে সাথে মেম্বার এসে মোক চড় কিল ঘুষি মারতে মারতে মাটিতে ফেলায় দেয়। মোর ছুয়াডা আগায় আসলে তাকেও চকিদার আর মান্নান মারে। আল্লাহই মেম্বারের বিচার করিবে।
বৃদ্ধকে মারধরের কথা স্বীকার করে ইউপি সদস্য বিশ্বনাথ বলেন, ‘ইসলাম উদ্দিন আমাকে ও চেয়ারম্যানকে নিয়ে গালিগালাজ করে। একথা শুনে গ্রাম পুলিশ আমাকে বলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন বলেন, ‘বৃদ্ধকে মারপিটের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ররঞ্জন রায় বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।
অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।