জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রেমিকসহ চার বন্ধু মিলে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পালাক্রমে ধর্ষণকালে কিশোরীটি জ্ঞান হারালে তাকে আম বাগানে একা ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের জামালপুর ইউনিয়নে।
পরে কিশোরীর মা ছয়জনকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। আজ সোমবার ভোররাতে সদর উপজেলার জামালপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম।
গ্রেফতার যুবকরা হলো, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উত্তর মহেষপুর গ্রামের বাবুল ওরফে বাবু (১৯), মোহাম্মদ সোহেল (২০), ঝাড়বাড়ি গ্রামের রমজান (১৯) এবং রাণীশংকৈল উপজেলার নুনতোর গ্রামের রহমান (১৯)।
ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার চারজন অপরাধ স্বীকার করেছে। বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি তানভিরুল বলেন, এক মাস আগে বাবুল ওরফে বাবুর সঙ্গে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর পরিচয় হয়।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী তার ১২ বছর বয়সী বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাবুর সঙ্গে বাড়ির পাশে কাশিয়াডাঙ্গী বাজারে দেখা করতে যায়। সে সময় ১২ বছর ঐ শিশুকে কৌশলে ওই বাজারের পাশে একটি বাড়িতে আটকে রাখে বাবু।
পরে কিশোরীকে অপহরণ করে ওই বাজারের পাশের এক আম বাগানে নিয়ে যান বাবুল ওরফে বাবু। সেখানে আগ থেকে ওৎ পেতে থাকা তার বন্ধুরাসহ বাবু ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এতে ঐ কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরদিন সকালে আটকে রাখা ১২ বছর বয়সী শিশু কৌশলে ঐ বাড়ি থেকে পালিয়ে আম বাগানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার বোনকে খুঁজে পায়। এরপর দুজনে পথ হারিয়ে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মহারাজা বাজারে চলে যায়।
পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করে সেদিন বিকেলে তাদের উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।