কোভিড-১৯ মহামারী পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন জমা না পড়ায় আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি করার অভিযোগ রয়েছে সাবরিনার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মইনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ দিন ধার্য করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
নারী নির্যাতন মামলায় জামিন পেলেন সংগীত পরিচালক ইমন
প্রসঙ্গত ডা. সাবরিনা চৌধুরী তথ্য জালিয়াতি করে দুই এলাকায় ভোটার এবং দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন। তার দুটি এনআইডি-ই সচল এবং দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। অপরটিতে ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। এ ক্ষেত্রে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হন ডা. সাবরিনা। তার দুটি পরিচয়পত্রই অকার্যকর করা হয়েছে।
জেকেজি হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাবরিনার বিরুদ্ধে করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে তাকে গ্রেফতারের পর কয়েক দফা রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।