ঢাকার থানা-ওয়ার্ডে পুরাতন কমিটি দিয়ে চলবে আ.লীগ
আস্থা ডেস্কঃ
ঢাকা মহানগরের উত্তর ও দক্ষিণের কোনো থানা-ওয়ার্ডেই কমিটি নেই ক্ষমতাসীনদের। গত বছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে ১শ ৩৯টি ওয়ার্ড ও ৫০টি থানা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও প্রভাবশালী নেতাদের মতানৈক্যের কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও এ নিয়ে একাধিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নগরের শীর্ষ নেতাদের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে বেশ কয়েকবার আলটিমেটামও দিয়েছিলেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। দ্রুত কমিটি ঘোষণা করতে এবং যোগ্য নেতৃত্বকে পদে আনতে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর দুই প্রভাবশালী নেতা ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক ও লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানকে দেওয়া হয়। তারপরও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ কমিটি ঘোষণা হবে না।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, আমরা এখন আমাদের কর্মসূচি নিয়েই বেশি ব্যস্ত। ফলে আমরা নতুন করে কমিটির চিন্তা পারছি না। সে কারণে আমার ধারণা এ মেয়াদে (আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে) হয়তো আর থানা-ওয়ার্ড কমিটি হবে না। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। তবে কমিটিগুলো হলে আরও ভালো হতো।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি বলেন, আমরা অনেক আগেই খসড়া কমিটি প্রস্তুত করেছি। এখন দলের পক্ষ থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হবে সেভাবেই করা হবে। কমিটি হলে নেতাকর্মীদের মাঝে আরও গতি আসবে, সংগঠনও আরও সুসংগঠিত হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে যেসব তথ্য ছিল তা ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের কাছে দিয়ে দিয়েছি। এখন উনি যাচাই-বাছাই করে এবং আমাদের দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, থানা-ওয়ার্ডের কমিটি হোক বা না হোক, যারা আগে যে দায়িত্বে ছিলেন, তারা আপাতত সেই দায়িত্ব পালন করবে।