ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ব্যবসায়ী, তারকারাও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান। নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসার সুযোগ পাবেন মাত্র মাস চারেক। এত কম সময়ের জন্য হলেও চান মনোনয়ন।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ব্যবসায়ী, তারকারাও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান। নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসার সুযোগ পাবেন মাত্র মাস চারেক। এত কম সময়ের জন্য হলেও চান মনোনয়ন।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, দলের নেতা ও চিত্রজগতের এক ডজনের বেশি ব্যক্তি দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন।
বর্তমান জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষের পথে। নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসার সুযোগ পাবেন মাত্র ৪ মাস। এত কম সময়ের জন্য হলেও একটি আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লম্বা তালিকা। অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের নাম আলোচনায় এসেছে তাঁরা হলো-আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শাম্স পরশ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দুই সহ-সভাপতি ওয়াকিল উদ্দিন ও কাদের খান। বর্তমান সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রার্থীদের ধারনা হলো-স্বল্প সময়ের কথা বিবেচনা করে আগ্রহীরা দৌড়ঝাঁপ করছেন না, বরং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিশ্চিত করাই তাঁদের লক্ষ্য। কারণ, উপনির্বাচনে যিনি মনোনয়ন পাবেন, পরের ভোটে তাঁকেই রেখে দেওয়া হবে।
ঢাকা-১৭ আসনটি গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। ২০০৮ সালে ঢাকা-১৭ আসন থেকে ভোট করার আগ্রহ প্রকাশ করেন সাবেক সামরিক শাসক ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। মহাজোটের স্বার্থে এরশাদকে আসনটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় আওয়ামী লীগ। তখন এরশাদ বিএনপির সাবেক সেনা কর্মকর্তা হান্নান শাহকে হারিয়ে জয় লাভ করেন।
২০১৪ সালে বিএনপির বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এরশাদ পুনরায় এই আসন থেকে মনোনয়ন চান। তবে শেষ মুহূর্তে না থাকায় বিএনএফ এর প্রধান আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন।
দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, যে কেউ দলের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ দেখাতে পারে। তবে মনোনয়ন দেওয়ার সময় নানা দিক পর্যালোচনা করা হয়। ফলে কে প্রার্থী হবেন, কে মনোনয়ন পাবেন, সেটা নিশ্চিত করে বলার মতো সময় আসেনি।