নিউজ ডেস্ক : গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তায় পুলিশের ছোড়া গুলি লাগে কলেজছাত্র শামীমের ডান চোখে। এ ঘটনার পর থেকে ওই চোখ দিয়ে কিছুই দেখতে পারতেন না তিনি। চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করলেও কেউ তার চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নেয়নি।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের এই শিক্ষার্থীর দুর্দশার কথা জানতে পারেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-সম্পাদক তারেক হাসান মামুন। পরবর্তীতে তিনি শামীমের খোঁজ-খবর নেন। এরপর তার সঙ্গে দেখা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে চিকিৎসার দায়ভার নেওয়ার আশ্বাস দেন এই ছাত্রদল নেতা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কলেজছাত্র বলেন, আজ ধানমণ্ডিস্থ বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতালে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মেহবুব উল কাদির ও ডা. শাহনুর ইসলাম আমার চোখে অস্ত্রোপচার করেন। এরপর চিকিৎসকরা বলেছেন, ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে চোখের কিছুটা উন্নতি হতে পারে। অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন রয়েছেন এই শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর এই শিক্ষার্থী চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন। এরপর থেকে তার থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসার সব দায়ভারের দায়িত্ব নেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা তারেক। একইসঙ্গে আশ্বাস নেন উন্নত চিকিৎসার।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা তারেক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে আহত শামীমের দুর্দশার কথা শুনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরবর্তীতে তার সব দায়ভারের দায়িত্ব নেই। এরই অংশ হিসেবে গত ৭ অক্টোবর জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রিহ্যাবিলিটিশন কমিটির আহ্বায়ক ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহের কাছে নিয়ে যায় তাকে। তিনি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শামীমের যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন।