তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন-শমসের, মহাসচিব-তৈমুর “ফলোআপ”
আস্থা ডেস্কঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র সাবেক দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরীকে
চেয়ারপার্সন ও তৈমুর আলম খন্দকারকে মহাসচিব এবং অন্তরা সেলিমা হুদাকে দলটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারপার্সন করে নতুন রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপি’র আংশিক জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলটির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আংশিক জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ২৭টি পদে নেতা নির্বাচন করেছে নতুন এই রাজনৈতিক দল। এরমধ্যে ৬ জন ভাইস চেয়ারপার্সন, একজন সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব, ৫ জন যুগ্ম-মহাসচিব, ১ জন কোষাধ্যক্ষ, ২ জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ১ জন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ২ জন দপ্তর সম্পাদক, ১ জন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন যুব বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন আইন বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন প্রচার প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এবং ১ জন স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে।
সম্মেলনে দলটির চেয়ারপরসন শমসের মোবিন চৌধুরী বলেন, তৃণমূল বিএনপি কিংস পার্টি নয়, এটা পিপলস পার্টি। তৃণমূল বিএনপি কোন সহিংসতা মূলক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তৃণমূল শব্দটি পছন্দ হওয়ায় তিনি দলটির সাথে যুক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যারা প্রকৃত গণতন্ত্র দেখতে চায়, যারা আইনের শাসন দেখতে চায় তারাই তৃণমূল বিএনপি করবে। বিএনপিতে নাজমুল হুদা ও তৈমূর আলম খন্দকার লাঞ্ছিত হয়েছে। রাষ্ট্রকাঠামোর মেরামতে কিছু সুপারিশ করবে তৃণমূল বিএনপি। অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় তৃণমূল বিএনপি, সে ক্ষেত্রে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনিত হয়।
২০১৫ সালের অক্টোবরে তিনি বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে আসেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে যোগ দেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাথে। তিনি এখনও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেব দায়িত্ব পালন করছেন।