ঢাকা ১১:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস

দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগী দৈনিক ৫০-৫৪ জনে সীমাবদ্ধ রয়েছে-তাপস

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০৬২ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগী দৈনিক ৫০-৫৪ জনে সীমাবদ্ধ রয়েছে-তাপস

স্টাফ রিপোর্টারঃ

এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার কার্যক্রম গতিশীল রেখে গত ১ মাস ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও বলছে, ঢাকায় এখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল। প্রতিদিন যে তদারকি করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় আমরা লক্ষ্য করেছি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈনিক ৫০-৫৪ জন করে রোগী পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং আমরা মনে করি যে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু কোনোভাবেই যেন এটা আর বাড়তে না পারে সেজন্যই আমাদের এই ব্যাপক কার্যক্রম চলমান রেখেছি।

আজ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রেড জোন ঘোষিত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিগাতলা এলাকায় ডেঙ্গু বিস্তাররোধে মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ পরবর্তী গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, গত সপ্তাহের পর্যালোচনায় ১৪ নম্বর ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড দুটিতে ১০ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই আমরা এই দুটি ওয়ার্ডকে লাল চিহ্নিত এলাকা (রেড জোন) ঘোষণা করেছি। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা, চিরুনি অভিযান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছি। সেজন্য আমরা এলাকাবাসী, সামাজিক সংগঠন, রেড ক্রিসেন্ট, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার সকল বাসাবাড়ি, স্থাপনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান করছি এবং তাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা দিনব্যাপী ব্যাপক চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা আশা করি, এতে এলাকাবাসী আরও সচেতন হবে এবং অচিরেই রোগী সংখ্যা আরও কমে আসবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইলিয়াছুর রহমান, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, সংরক্ষিত আসনের শিরিন গাফ্ফার ও শেফালী আক্তার প্রমুম।

শেখ তাপস বলেন, আমরা এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমরা কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেছি। সবাই দায়িত্ব নিয়ে নিজ নিজ বাসাবাড়ি, আঙিনা, স্থাপনা পরিষ্কার রাখবে। পানি জমতে দেবে না। আমরা এটাই চাই। ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এডিসের প্রজননস্থল নির্মূল করতে হবে। আগে যে ৪টি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে এবং সে প্রেক্ষিতে সেখানে যে প্রচার-প্রচারণা, চিরুনি অভিযান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে, বর্তমানে সেসব ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে বলে জানান তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, মৌসুম শুরু হওয়ার অনেক আগেই আমরা মন্ত্রীপর্যায়ে এবং সিটি করপোরেশনেও আমরা আলাদাভাবে রেলওয়ে, গণপূর্ত, পুলিশসহ ঢাকা শহরে যাদের বৃহত্তর স্থাপনা রয়েছে, এরকম বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করেছি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করি যে, যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তারপরও আমরা তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে রেলওয়ে কলোনি, থানাগুলো, হাসপাতাল এলাকা, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিষ্কার করেছি। আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। তবে আমরা আশা করব, তারা আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

পরে মেয়র ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কামরাঙ্গীরচরের কয়েকটি এলাকায় বেশ ক’টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশ নেন।

ট্যাগস :

দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগী দৈনিক ৫০-৫৪ জনে সীমাবদ্ধ রয়েছে-তাপস

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগী দৈনিক ৫০-৫৪ জনে সীমাবদ্ধ রয়েছে-তাপস

স্টাফ রিপোর্টারঃ

এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার কার্যক্রম গতিশীল রেখে গত ১ মাস ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও বলছে, ঢাকায় এখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল। প্রতিদিন যে তদারকি করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় আমরা লক্ষ্য করেছি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈনিক ৫০-৫৪ জন করে রোগী পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং আমরা মনে করি যে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু কোনোভাবেই যেন এটা আর বাড়তে না পারে সেজন্যই আমাদের এই ব্যাপক কার্যক্রম চলমান রেখেছি।

আজ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রেড জোন ঘোষিত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিগাতলা এলাকায় ডেঙ্গু বিস্তাররোধে মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ পরবর্তী গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, গত সপ্তাহের পর্যালোচনায় ১৪ নম্বর ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড দুটিতে ১০ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই আমরা এই দুটি ওয়ার্ডকে লাল চিহ্নিত এলাকা (রেড জোন) ঘোষণা করেছি। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা, চিরুনি অভিযান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছি। সেজন্য আমরা এলাকাবাসী, সামাজিক সংগঠন, রেড ক্রিসেন্ট, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার সকল বাসাবাড়ি, স্থাপনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান করছি এবং তাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা দিনব্যাপী ব্যাপক চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা আশা করি, এতে এলাকাবাসী আরও সচেতন হবে এবং অচিরেই রোগী সংখ্যা আরও কমে আসবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইলিয়াছুর রহমান, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, সংরক্ষিত আসনের শিরিন গাফ্ফার ও শেফালী আক্তার প্রমুম।

শেখ তাপস বলেন, আমরা এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমরা কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেছি। সবাই দায়িত্ব নিয়ে নিজ নিজ বাসাবাড়ি, আঙিনা, স্থাপনা পরিষ্কার রাখবে। পানি জমতে দেবে না। আমরা এটাই চাই। ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এডিসের প্রজননস্থল নির্মূল করতে হবে। আগে যে ৪টি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে এবং সে প্রেক্ষিতে সেখানে যে প্রচার-প্রচারণা, চিরুনি অভিযান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে, বর্তমানে সেসব ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে বলে জানান তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, মৌসুম শুরু হওয়ার অনেক আগেই আমরা মন্ত্রীপর্যায়ে এবং সিটি করপোরেশনেও আমরা আলাদাভাবে রেলওয়ে, গণপূর্ত, পুলিশসহ ঢাকা শহরে যাদের বৃহত্তর স্থাপনা রয়েছে, এরকম বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করেছি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করি যে, যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তারপরও আমরা তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে রেলওয়ে কলোনি, থানাগুলো, হাসপাতাল এলাকা, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিষ্কার করেছি। আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। তবে আমরা আশা করব, তারা আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

পরে মেয়র ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কামরাঙ্গীরচরের কয়েকটি এলাকায় বেশ ক’টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশ নেন।