ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস

দীর্ঘ ২০ বছর পর রংপুরে কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে দুই আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

Astha Desk
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
  • / ১০৩০ বার পড়া হয়েছে

রিয়াজুল হক সাগর রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামে দীর্ঘ ২০ বছর পর নাবালিকা কিশোরীকে অপহরন করে ধর্ষন করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায় প্রদান করা হয়েছে। দুই ধর্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহসপতিবার দুপুর ১২ টায় রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১ এর বিচ্রাক মোস্তফা কামাল এ রায় ঘোষ না করেন। রায় ঘোষনার সময় দুই আসামীই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে ২০০২ সালের ১৪ মে তারিখে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের নাবালিকা কিশোরী মেয়ে একই গ্রামে তার বড় বোনের বাড়িতে গিয়েছিলো। ওই দিন রাত ৮ টার দিকে কিশোরী মেয়েটি বাড়ির পার্শ্বেই টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। এ সময় আগে থেকেত ওত পেতে থাকা আসামী রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম কিশোরী মেয়েটিকে অস্ত্রের মুখে অপহরন করে বাড়ির অদুরে একটি ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে দুই আসামী ধর্ষন করে। মেয়েটির আর্তচিৎকারে আশে পার্শ্বের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক পীরগজ্ঞ থানাকে মামলাটি রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের আদেশ দেয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন তারিখে মামলার তদন্ত কারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই খলিলুর রহমান দুই আসামীর বিরুদ্ধে চার্জসীট আদালতে দাখিল করে। মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামী রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলমকে দোষি সাব্যস্ত করে অপহরনের অভিযোগে যাজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। অন্যদিকে ধর্ষনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আদালত উভয় দন্ডই এক সাথে পালন করার আদেশ দেন।
সরকার পক্ষের মামলা পরিচালনাকারী বিশে পিপি রফিক হাসনাইন এ্যাডভোকেট বলেন ২০ বছর পরে হলেও নাবালিকা কিশোরী মেয়েকে অপহরন করে ধর্ষনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন এ রায়ে বাদী ও সরকার পক্ষ সন্টুষ্টি প্রকাশ করছে।

ট্যাগস :

দীর্ঘ ২০ বছর পর রংপুরে কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে দুই আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আপডেট সময় : ১১:২৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

রিয়াজুল হক সাগর রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামে দীর্ঘ ২০ বছর পর নাবালিকা কিশোরীকে অপহরন করে ধর্ষন করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায় প্রদান করা হয়েছে। দুই ধর্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহসপতিবার দুপুর ১২ টায় রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১ এর বিচ্রাক মোস্তফা কামাল এ রায় ঘোষ না করেন। রায় ঘোষনার সময় দুই আসামীই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে ২০০২ সালের ১৪ মে তারিখে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের নাবালিকা কিশোরী মেয়ে একই গ্রামে তার বড় বোনের বাড়িতে গিয়েছিলো। ওই দিন রাত ৮ টার দিকে কিশোরী মেয়েটি বাড়ির পার্শ্বেই টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। এ সময় আগে থেকেত ওত পেতে থাকা আসামী রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম কিশোরী মেয়েটিকে অস্ত্রের মুখে অপহরন করে বাড়ির অদুরে একটি ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে দুই আসামী ধর্ষন করে। মেয়েটির আর্তচিৎকারে আশে পার্শ্বের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক পীরগজ্ঞ থানাকে মামলাটি রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের আদেশ দেয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন তারিখে মামলার তদন্ত কারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই খলিলুর রহমান দুই আসামীর বিরুদ্ধে চার্জসীট আদালতে দাখিল করে। মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামী রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলমকে দোষি সাব্যস্ত করে অপহরনের অভিযোগে যাজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। অন্যদিকে ধর্ষনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আদালত উভয় দন্ডই এক সাথে পালন করার আদেশ দেন।
সরকার পক্ষের মামলা পরিচালনাকারী বিশে পিপি রফিক হাসনাইন এ্যাডভোকেট বলেন ২০ বছর পরে হলেও নাবালিকা কিশোরী মেয়েকে অপহরন করে ধর্ষনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন এ রায়ে বাদী ও সরকার পক্ষ সন্টুষ্টি প্রকাশ করছে।