ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই দশক পর আবার বিশ্বে বাড়ছে অতিদারিদ্র্য

News Editor
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৩৬ বার পড়া হয়েছে

করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দেখতে যাচ্ছে পৃথিবী। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল বলে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, করোনা মহামারি ১১৫ মিলিয়ন (সাড়ে এগারো কোটি) মানুষকে অতিদারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক।

মহামারি বিশ্বব্যাপী সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোকে আরও বেশি বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে দারিদ্র্য হ্রাস ধীর হয়ে গেছে বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি জানিয়েছে। 

মিয়ানমারকে কাছে টানছে ভারত

২০২১ সালের মধ্যে অতিদরিদ্র্য মানুষের সংখ্যা উঠতে পারে দেড়শ মিলিয়নে (১৫ কোটি)। দিনে ১.৯০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬১ টাকা) থেকে কম খরচের জীবনযাপনকে অতিদারিদ্র্য হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়ে থাকে।

বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্য ও সমৃদ্ধি বিষয়ক দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনটিতে জানায়, এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রথম এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল বিশ্ব। সেসময় এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা পড়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে।

করোনা পরিস্থিতির আগে ধারণা করা হয়েছিল, ২০২০ সালে বিশ্বের অতি দারিদ্র্যের হার ৭.৯ শতাংশে নেমে আসবে। কিন্তু এ বছর বিশ্বের জনসংখ্যার ৯.১ এবং ৯.৪ শতাংশের মধ্যে এটি প্রভাব ফেলবে।

প্রতিবেদনটির অন্য অংশে দেখা গেছে, মহামারির মধ্যে বিলিয়নিয়াররা রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে। প্রযুক্তি ও শিল্পখাতের শীর্ষ ব্যক্তিরা সর্বাধিক উপার্জন করেছেন।

করোনাকালে এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের সম্পদ ২৭.৫ শতাংশ বেড়ে ১০.২ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে।

দুই দশক পর আবার বিশ্বে বাড়ছে অতিদারিদ্র্য

আপডেট সময় : ০১:০৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দেখতে যাচ্ছে পৃথিবী। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল বলে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, করোনা মহামারি ১১৫ মিলিয়ন (সাড়ে এগারো কোটি) মানুষকে অতিদারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক।

মহামারি বিশ্বব্যাপী সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোকে আরও বেশি বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে দারিদ্র্য হ্রাস ধীর হয়ে গেছে বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি জানিয়েছে। 

মিয়ানমারকে কাছে টানছে ভারত

২০২১ সালের মধ্যে অতিদরিদ্র্য মানুষের সংখ্যা উঠতে পারে দেড়শ মিলিয়নে (১৫ কোটি)। দিনে ১.৯০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬১ টাকা) থেকে কম খরচের জীবনযাপনকে অতিদারিদ্র্য হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়ে থাকে।

বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্য ও সমৃদ্ধি বিষয়ক দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনটিতে জানায়, এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রথম এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল বিশ্ব। সেসময় এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা পড়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে।

করোনা পরিস্থিতির আগে ধারণা করা হয়েছিল, ২০২০ সালে বিশ্বের অতি দারিদ্র্যের হার ৭.৯ শতাংশে নেমে আসবে। কিন্তু এ বছর বিশ্বের জনসংখ্যার ৯.১ এবং ৯.৪ শতাংশের মধ্যে এটি প্রভাব ফেলবে।

প্রতিবেদনটির অন্য অংশে দেখা গেছে, মহামারির মধ্যে বিলিয়নিয়াররা রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে। প্রযুক্তি ও শিল্পখাতের শীর্ষ ব্যক্তিরা সর্বাধিক উপার্জন করেছেন।

করোনাকালে এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের সম্পদ ২৭.৫ শতাংশ বেড়ে ১০.২ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে।