যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অস্ত্র ও মাদক মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র আমল আকারে গ্রহণ করে চার্জ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
এ দু’টি মামলায় সম্রাট জামিন আবেদনও করেছেন। তবে সেই আবেদনের বিষয়ে এখনো আদেশ হয়নি। এ দু’টি মামলার শুনানি উপলক্ষে সকালেই সম্রাটকে আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
আসা-যাওয়ার পথে সম্রাটের গাড়ির চারপাশে জড়ো হয়ে হাজারো নেতাকর্মী তার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। এছাড়া শুনানি চলাকালেও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে অবস্থান নেন তারা। এসময় তাদের হাতে সম্রাটের মুক্তির দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ছিল। তারা সম্রাটের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানও দেন।
সম্রাটকে গত বছর ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করার পর তার নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। দু’টি মামলাতেই সম্রাটকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ দু’টি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর তা বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
গত বছর ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরদিন তাদের নিয়ে রাজধানীতে নিজ নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে র্যাব।
এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর গত ৭ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা দু’টি মামলা করেন। এর মধ্যে যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে।