দুর্নীতির মামলায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক মীর শফিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০১৮ সালে গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ উমরুল হক অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুর্নীতির মামলাটি করেন। আদালতের নির্দেশে দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন মামলাটি তদন্ত করে গত ২২ মার্চ অভিযোগপত্র দেন। এতে ৭২ লাখ ৪২ হাজার ৭৩০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
রাজধানীর পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি বন্ধ
সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বলেন, গত ১২ অক্টোবর আদালত চার্জশিট আমলে নেয়। গতকাল মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে শিক্ষক নিয়োগেও তিনি অনিয়ম করতেন। রেজুলেশন ছাড়া উন্নয়ন খাতের টাকা উত্তোলন ও টাকা খরচের অনিয়ম করেছেন। এছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে গোদাগাড়ী কলেজের একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে- সেটিও তিনি নিজেই পরিচালনা করতেন। এ হিসাব থেকে ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষ। এ নিয়ে কলেজে আলোচনা শুরু হলে ২০১৯ সালে স্ত্রী নাহিদা সুলতানাকে এ হিসাবের নমিনি করে দেন তিনি; যা নিয়ম বহির্ভূত। এটিকে তিনি ব্যক্তিগত হিসাব বলে চালানোর চেষ্টা করেন।
মামলার বাদী কলেজের উপাধ্যক্ষ উমরুল হক জানান, বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাৎ ছাড়াও নানান অভিযোগে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন। অধ্যক্ষ মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তারেক আজিজকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চেকের মাধ্যমে ৯ লাখ টাকা এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন।